১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪৩
শিরোনাম:

আওয়ামী লীগের সময় ভোট চুরির সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময় ভোট চুরি বা কারচুপি করে ব্যালট বাক্স ভরার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেল গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, অন্তত সেই ধরনের চুরি, ভোট দখল করা বা ভোট কারচুপি করা—সেই সুযোগ এখন নেই। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা। ওই ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি ভোটার তালিকা করেছিল। এখন আর সেটা কেউ করতে পারবে না। এখন ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড হয়ে গেছে, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স। সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলে দেবেন, সে সুযোগ নেই।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী কাতারে এলডিসি-৫ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। এর জন্য অনেক ধৈর্যের দরকার। অনেক গালমন্দ ও অনেক কিছুই তো শুনতে হয়। প্রতিনিয়ই সমালোচনা শুনেই যাচ্ছি। আর আমরাই সুযোগ করে দিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশে তো এত টেলিভিশনও ছিল না, রেডিও ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে আমরা সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তাই সবার সুবিধাও আছে কথা বলার।’

শুধু দেশে নয়, বিদেশ থেকেও সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বিদেশে বসেও আমাদের সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের করে দেওয়া জিনিস দিয়ে, সুযোগ পেয়ে, আমাদের সমালোচনা করে এটাও শুনতে হয়, কিছুই করি নাই। এটাও শুনতে হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে কি না, দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ আছে কি না, আর যে লক্ষ্যটা আমরা স্থির করেছি, এই সময়ের মধ্যে দেশ আমরা এই পরিমাণ উন্নয়ন করব। সেটা করতে পেরেছি কি না, সেটা সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয়। আমি অন্তত এটা দাবি করতে পারি, আমি এটা করতে সক্ষম হয়েছি। সক্ষম হয়েছি এ কারণে, জনগণই আমাদের মূল শক্তি। জনগণ আমাদের পাশে ছিল সে জন্য।’

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে ৮ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন।