১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৫৪
শিরোনাম:

ব্রয়লার মুরগির কেজি ২শ’ টাকার বেশি হওয়া অযৌক্তিক

ব্রয়লার মুরগির দাম ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২০০ টাকার বেশি হওয়া অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

বুধবার (২২ মার্চ) আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, ব্রয়লার মুরগির দাম ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২০০ টাকার উপর হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। যারা দায়িত্বশীল রয়েছেন, তারা ভোক্তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য বিষয়টি দেখবেন সেই প্রত্যাশা করবো।

উল্লেখ্য, নিউমার্কেটের বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজারে আজ (বুধবার) প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা। যা দোকানিরা ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে এনেছেন। এছাড়া ৩০০ টাকায় কিনে আনা লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায় এবং ৩৬০ টাকায় কিনে আনা কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।

ভোক্তা অধিদফতরের ডিজি বলেন, রমজান মাসে যেসব কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায় সেটি আমরা শনাক্ত করেছি। কিছু ব্যবসায়ী রমজানের অজুহাতে দাম বাড়ানোর কারসাজি করেন। এবার রমজানে তারা যাতে এটি করতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআই ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর যৌথভাবে কাজ করছি।

তিনি বলেন, এবার রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারে, সেজন্য বাজার কমিটিগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশের কোনো বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তাহলে এর জন্য বাজার কমিটি দায়ী থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই৷ দামও স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি দুই একটি পণ্যের দাম কমেছেও। তাই ভোক্তাদের পণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ে অস্থির হওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনারা বাজরে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না। আপনারা তিন দিন বা সাত দিনের পণ্যে একসঙ্গে কিনেন। কিন্তু পুরো রমজানের বাজার একসঙ্গে করে বাজার অস্থির করবেন না।

এবারের রমজান যাতে সবাই স্বস্তিতে পার করতে পারে সেই প্রত্যাশা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ডিজি।