৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৫৫
শিরোনাম:

উন্নত দেশে এমন হলে মিডিয়ার লাইসেন্স বাতিল হতো: কাদের

স্বাধীনতা দিবসে একজন শিশুকে উদ্ধৃত করে দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো উন্নত দেশে ‘চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন’ বা শিশু নির্যাতন করে সংবাদ প্রচার করা হলে সেই সংবাদমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো। সরকার এখনো তা করেনি। শেখ হাসিনা অনেক ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেন, শিশুর হাতে ১০ টাকা উৎকোচ দিয়ে এ ধরনের কথা (পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো) বলে পরে বলা হলো সেটি ‘ভুল’। উন্নত বিশ্বের গণতান্ত্রিক কোনো দেশে এমন চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন হলে সেই মিডিয়া বা গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো।

রোববার (২ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কেউ কেউ বলেন, ভুল তো অপরাধ নয়। ঠিক আছে, ভুল অপরাধ নয়। কিন্তু অপরাধকে নিছক ভুল বলে কি এড়িয়ে যাওয়া যায়। এটা জঘন্যতম অপরাধ। এটা চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন।

তিনি বলেন, এই ভুলের জন্য কি কেউ ক্ষমা চেয়েছে। অথচ ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ‘তারাই ঠিক’ সেই অহংকারে বুদ হয়ে নিজেদের বক্তব্য সমর্থন করে যাচ্ছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) বিবৃতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সাংবাদিককে ভয় দেখাতে সরকার এই কাজ করেছে, একটি পত্রিকার রিপোর্টারকে গ্রেফতার করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলা সরকার করেনি, মামলা বেসরকারিভাবে হয়েছে। কিন্তু অপরাধের কি কোনো শাস্তি নেই?

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশে একটা বাচ্চাকে ব্যবহার করে দিনমজুরের নামে উদ্ধৃতি দিয়ে যারা জঘন্য অপরাধ করেছে, সেই অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। আমরা অনেক কিছু সহ্য করছি।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আবার গণঅভ্যুত্থানের হুমকি দিলেন। গতকালের (শনিবারের) তাদের অবস্থান কর্মসূচি দেখলাম। অবস্থান কর্মসূচিতে পাঁচ থেকে সাতশো লোকের উপস্থিতি। আমাদের জেলা পর্যায়েও এক হাজারের কম হয় না। কর্মসূচির নামে রোজার দিনে রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। এসব কর্মসূচি দিয়ে গণঅভ্যুত্থান হয় না। দেখতে দেখতে চৌদ্দ বছর চলে গেলো, মানুষ বাঁচে কয় বছর? আরও অপেক্ষা করুন, অতীত ভুলে যান৷ জনগণ ছাড়া গণঅভ্যুত্থান হবে না।

তিনি বলেন, এখন বিএনপির কর্মীরাই হতাশ। গণঅভ্যুত্থান চলে গেলো গাবতলী আর গোলাপবাগের গরুর হাটে। সেখান থেকে গণঅভ্যুত্থান চলে গেলো নীরব পদযাত্রায়। পথ হারিয়ে পদযাত্রা দাঁড়িয়ে গেলো মানববন্ধনে। মানববন্ধন থেকে এখন বসে পড়ছে অবস্থান কর্মসূচিতে। বিএনপির আন্দোলনও এখন বসে পড়েছে। গণঅভ্যুত্থান আর দাঁড়াতে পারবে না৷ আমরা আমাদের শক্তি-সামর্থ্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবো।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।