৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:২২
শিরোনাম:

তিন মাস বেতন নেই; বিপাকে এফডিসির ২২৪ কর্মচারী

গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বেতন পাননি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ২২৪ জন কর্মচারী। এদের অনেকেই বাসাভাড়া দিতে না পারায় বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পেয়েছেন। এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এমনকি পরিপূর্ণ খাদ্যের জোগারও করতে পারছেন না কেউ কেউ। ইফতারিতে পানি ছাড়া অন্য কিছুই জুটছে না কারো কারো। আবার সেহরির খাবার যোগাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমন অভিযোগ করলেন এফডিসির কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক কলাকুশলী ও কর্মচারী শ্রমিকলীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব।

এমন অবস্থায় বারবার এমডির কাছে গিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না তাদের। অবশেষে বেতন-ভাতার দাবীতে বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সকালে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিনের কার্যালয়ে গিয়ে তার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা। রোববার (০৯ এপ্রিল) বেতনের দাবীতে আবারো এমডির কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন হাবিব।

তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে মার্চ কোনো মাসের বেতন হয়নি তাদের। এমডি শুরু থেকে আশ্বাস দিয়ে আসছেন। কিন্তু কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। এবার এমডি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। তিনি পূর্বের মতো আশ্বাস দিয়েছেন আগামী সপ্তাহে সুখবর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বারবার তার আশ্বাসে আমরা হতাশ হয়েছি। যদি আগামী সপ্তাহে আমাদের তিন মাসের বেতন না পাই তাহলে আমরা কর্ম বিরতিতে যাবো।

কর্মচারীরা স্মারকলিপি প্রদানের আগে একাধিক গণমাধ্যম কর্মী এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। সরাসরি গিয়ে দেখা করতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে কথা বলতে মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার সাড়া মেলেনি।

উল্লেখ্য,এফডিসি তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হলেও এর বেতন-ভাতা আসে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু ২ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আসা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নিজস্ব আয় দিয়ে এফডিসির কার্যক্রম পরিচালনা করতে। এতেই বিপাকে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। কারণ বহু বছর ধরেই সিনেমার কাজ তেমন না থাকায় এফডিসির আয়-রোজগারের অবস্থা নাজুক।