২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪৮
শিরোনাম:

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই: ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনের প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই, তবে বিএনপির আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে কথা বলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

রোববার (১৬ এপ্রিল) মিরপুর-১৪ নম্বরে দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে আমেরিকার মাথাব্যথা নেই; মাথাব্যথা বিএনপির। তারা আবার বিদেশিদের সাথে বৈঠক শুরু করেছে। আমেরিকার সাথে নাকি বৈঠক হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা নাকি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা আমাদেরও দাওয়াত করেছিল। পিটার হাস সাহেবের সাথে অনেক কথা হলো। তিনি নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেননি। পিটার হাস এত কথা বললেন, কিন্তু তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মাথাব্যথা আছে, এমন কথা বলেননি। মাথাব্যথা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোজার মাসে ইফতারি মুখে দেওয়ার আগে একজন মানুষের মুখে প্রতিদিন মাইক থাকে। বলেন তো কে? ফখরুল। সবাই তাকে চিনে গেছে। মুখে তার মাইক থাকে। ইফতারে সময় রোজা থেকে এত মিথ্যা কথা কীভাবে বলে। হি ইজ এ প্যাথলজিক্যাল লায়ার। তার মুখে মিথ্যা ছাড়া কিছু থাকে না। বিএনপি হচ্ছে ‘ওই ধরণের’ ধর্মানুরাগী।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নেত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ইফতার করি। আর বিএনপি সামর্থ্যবানদের নিয়ে ইফতার পার্টি করে। তারা ইফতার পার্টি করে আর আমরা গরিবের সঙ্গে ইফতার করি। আমাদের সঙ্গে বিএনপির এটাই পার্থক্য।

এ সময় বিভিন্ন মার্কেটে আগুনের ঘটনাগুলো বিএনপি ও জামায়াত ঘটাচ্ছে বলে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন আগুন রহস্যজনক। আপনি একটি সত্য কথা বলেছেন। পর পর কয়েক দিন একই সময়ে সেহরির পর লোকজন যখন চলে যায়, এমন টাইমে আগুন লাগে কি করে? এ জবাব আপনি দিন। একই সময়ে কীভাবে আগুন লাগে নেত্রী এই রহস্যটা ফাঁস করতে বলেছেন।

আপনারা এটা করতে পারেন, এটা আপনাদের পুরনো অভ্যাস। ২০১৩, ২০১৪ সালে আগুন নিয়ে খেলেছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে বাস পুড়িয়েছে, ড্রাইভার পুড়িয়েছে, কনট্রাক্টরদের পুড়িয়েছে, গাছে আগুন দিয়েছে, রেললাইনে আগুন দিয়েছে; তারা কি না করেছে। তারা অসহায় মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এখন আন্দোলন জমছে না, মানুষ আন্দোলনে আসে না। আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন জ্বালানোর কৌশল বেছে নিয়েছে কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন। উদ্ঘাটন করা হবে, সত্য বের করা হবে। যারাই আগুন দিক নির্দিষ্ট টাইমে দেশের মানুষের কাছে জানানো হবে।

এ সময় দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এটা নেত্রীর নির্দেশ। আপনারা সতর্ক থাকুন। শান্তি সমাবেশ করুন। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে সমুচিত জবাব দিন।

বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনি সুযোগ পেলেই বাকশাল নিয়ে কথা বলেন। বাকশাল যদি খারাপই হবে তাহলে আপনার নেতা জেনারেল জিয়া বাকশালে যোগ দিতে কেন দরখাস্ত করেছিলেন? বাকশাল নিয়ে কিছু বলার আগে এ প্রশ্নের জবাব দেবেন। বিএনপির অনেকেই কিছু জানেন না। গোপন হুকুম আসে লন্ডন থেকে। সেই পলাতক আসামি অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে বলেও তিনি এ সময় মন্তব্য করেন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবা উল হক সাচ্চু, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা উত্তরের সভাপতি আনিসুর রহমান নাঈম প্রমুখ।