৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:১০
শিরোনাম:

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিএনপি নেতাদের মুখে কুলুপ

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে তার সঙ্গে বৈঠকে করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় পিটার হাসের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পিটার হাস ছাড়াও দেশটির দূতাবাসের আরও দুই কর্মকর্তা অংশ নেন।

এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খুলছেন না দলটির কোনো নেতা। তারা বলছেন, বৈঠকের বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে এখনই কোনো বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আগে আলোচনা বিষয়বস্তু নিয়ে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর যদি দলের মনে হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা দরকার, তখন বলা হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওয়াবায়েদ ছিলেন।

বৈঠকে আলোচনা বিষয়ে জানতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা পোস্ট। তিনি বলেন, কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলাপের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি দলের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

পরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি ঢাকা পোস্ট বলেন, আমরা বৈঠকের বিষয়ে বাইরে কোনো আলাপ করছি না, দুঃখিত।

বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য সদস্য শামা ওবায়েদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। একসময় বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, দলের এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৈঠকের বিষয়ে আমিও কিছু জানি না। এটা নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হলে তখন জানতে পারব। আগামীকাল (সোমবার) দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, সামনে যেহেতু সংসদ নির্বাচন, ফলে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। হয়ত আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভাবনা কী অথবা আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে, সেটা বিএনপিকে জানানো হয়েছে। এছাড়া ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টিও আসতে পারে।