১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৫৩
শিরোনাম:

স্কুলে না গিয়ে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কতিপয় শিক্ষক, বদলির নির্দেশ দিলেও যাচ্ছে না অন্য বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক-

স্টাফ রিপোর্টার গজারিয়া:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ৫০ নং চর বলাকি নতুন চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিগত চার থেকে পাঁচ বছর যাবত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের আওতাভুক্ত হওয়ায় সাধারণ জনগণের চলাচল সীমিত হওয়ায় আস্তে আস্তে এলাকাটি জনশূন্য হয়ে পড়ে।
সে সুযোগ  কাজে লাগিয়ে কর্মরত শিক্ষকগণের মধ্যে দুজন অন্য স্কুলে ডেপুটেশন নিয়ে কর্মরত আছেন। প্রধান শিক্ষক শাহরিন সুলতানা ও সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার বিভিন্ন তকবীরে অত্র বিদ্যালয়ে অবস্থান করে।
 দায়িত্ব পালন না করে দুই শিক্ষক বাড়িতে অবস্থান করে বছরের পর বছর সরকারি কোষাগার হতে  লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য-উপত্তের ভিত্তিতে শিক্ষকদের বাসস্থানে পরিদর্শন করে অফিসিয়াল সময়ে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান পরিলক্ষিত হয়।
অফিস না করে বাড়িতে অবস্থানের বিষয়ে  দুই শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে মাঝে মাঝে তারা স্কুলে ঘুরতে যায় এবং বাকি সময় তারা বাসায় অবস্থান করে।
প্রধান শিক্ষক শাহরিন সুলতানা জানান স্কুলের এম আর শীট তৈরি করার জন্য মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে যাই।, আমার বাড়ি গোসাইরচর। তিনি ঢাকার ডেমরায় সপরিবার নিয়ে অবস্থান করে।
 সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার বলেন আমরা উপজেলা ও জেলা অফিসারকে মেনেজ করেই অফিস করি। আমার বাড়ি টেঙ্গারচর, আমার বাবার নাম সালেহ আহমেদ একজন প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি জানান কোম্পানির ভিতর অপরিচিত কাউকেই প্রবেশ করতে দেয় না। বছরের পর বছর এই বিদ্যালয়টি ছাত্র-ছাত্রী শূণ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সিটি কোম্পানির কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড জানান একজন মহিলা মাসে একবার আমাদের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয় প্রবেশ করতে দেখা যায়, বাকি অন্য সময় বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক দেখা যায় না।
কর্তব্যরত উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান আমাদের গজারিয়া উপজেলায় অনেক বিদ্যালয় আছে শিক্ষক সংকট সেখানে তারা ডেপুটেশন নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারে। তা না করে এই শিক্ষকরা ডিউটি ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর বাড়িতে অবস্থান করে সরকারি অর্থ ভোগ করে যাওয়া প্রতারণার শামিল। এই বিষয়গুলি যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্পিত দায়িত্বের সাথে সুরাহা করলে উপজেলা বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষক সংকটের কিছুটা অবসান হতো।
গণমাধ্যম কর্মীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুপস্থিতর সংবাদ যাতে প্রকাশ না করে এই (০১৮৯৩৭৫৫৯০৫) মোবাইল নাম্বার হতে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদির জানান আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জেনে এখন থেকে ২০ দিন আগে ৭ নং বালুয়াকান্দি প্রাইমারি বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার কে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, কেন উনি যোগদান করেননি। বসে বসে বেতন নিবে  তা হবে না। তার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।