১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৪৭
শিরোনাম:

 বিধি ভেঙ্গে ১ বছর যাবত ডেপুটেশনে সহকারী শিক্ষক                           

স্টাফ রিপোর্টার:

স্বল্পতাশিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। কোনও রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে স্কুলটি। এরই মধ্যে স্কুলটির একজন শিক্ষক নিয়ম বহির্ভূতভাবে ডেপুটেশনে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। শিক্ষা বিভাগের তদারকিও নেই বললেই চলে।

মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়েই ৭০নং চর চৌদ্দ কাহনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলেখা ২০২২ সালের আনুমানিক এপ্রিলে ডেপুটেশনে যান ৪৭নং মীরের গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত এক বছর ধরেই তিনি ওই স্কুলে কাজ করছেন। গজারিয়া উপজেলার  শিক্ষা অফিসের সাবেক অফিসার মমতাজ বেগমের মৌখিক অনুমতিতে তিনি ডেপুটেশনে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষার্থী অনুপাতে ৭০নং চর চোদ্দ কাহুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা। তবে বর্তমানে স্কুলটিতে ২ জন শিক্ষক রয়েছে। আর ৪৭নং মীরের গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অনুপাতে সেখানে ৬ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে আছেন ৫ জন। এতে করে পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত অনুমতি না নিয়ে জুলেখা বেগম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে বিধি ভঙ্গ করে  গত ২০২২সালে এপ্রিল থেকে ডেপুটেশনে যান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডেপুটেশনে চলে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট স্কুলে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। অথচ এই স্কুলের নামেই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন জুলেখা।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক জোলেখা বলেন‘যাতায়াতে অসুবিধার কারণে ডেপুটেশন নিয়েছি। সামনের জানুয়ারিতে বদলির চেষ্টা করবো।’ তবে ৭০নং চর চৌদ্দ কাহুনিয়া স্কুল থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

৪৭ নং মীরেরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান  শিক্ষক জাহানারা আক্তার ডালিয়া বলেন, ‘ তিনি  (জুলেখা) আমার কাছে এসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলে আমাদের বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। তবে কে এই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তা তিনি বলতে পারেননি। তার কাছে কোনও সরকারি আদেশ নেই।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদির  বলেন, পূর্বের শিক্ষা অফিসার মমতাজ বেগমের আদেশে তিনি ওই বিদ্যালয়ে আছেন। বিষয়টি জানার পর ৪৭ নং মীরের গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গেলে মূল বিদ্যালয়ে ফিরে যেতে আদেশ করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহানারা আক্তার ডালিয়া  সহকারি শিক্ষক জুলেখাকে তার স্কুলে রাখার জন্য আমার কাছে বিনীত অনুরোধ করেন।