২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৩২
শিরোনাম:

টাকার বিনিময়ে আগষ্টিনকে কালব’র চেয়ারম্যান বানানোর নেপথ্যে মেজবাহ-কামাল-তায়েফ !

নিজস্ব সংবাদদাতা: কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) এর ১১ নভেম্বর-২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে সমবায় অধিদপ্তরের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা এবং একাডেমিক উচ্চ শিক্ষাহীন,সমবায়জীবি, এককালের দর্জি ও সমবায়ের মাফিয়া খ্যাত আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের অর্থ ও পেশী শক্তির কাছে আইন আদালত হেরে গেছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের আদেশও সমবায় অধিদপ্তরের মেজবাহ-কামাল-তায়েফ সহ কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা অত্যন্ত সুক্ষভাবে পদদলিত করেছে। কালবের চিরাচরিত নির্বাচনী ঐতিহ্য তচনছ হয়ে গেছে। কালবে নির্বাচন করার জন্যে প্রাথমিক যোগ্যতা তথা সিউডিসিসি কোর্স সম্পন্ন করেন নি আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। এমনকি সিউডিসিসি কোর্স করার পূর্বশর্ত ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টস্ ম্যানেজমেন্ট কোর্সও সম্পন্ন করেন নি তিনি। আগষ্টিন পিউরিফিকেশন(রীট পিটিশন নং-১১৩২৭/২০২২) এবং তার পক্ষাবলম্বনকারি একজন পরিচালক প্রার্থী ডেভিড প্রবিন রোজারিও(রীট পিটিশন নং-১১৮০৮/২০২২) কালবের দীর্ঘ দিনের অনুসৃত উপ-আইনের বিধান বাতিলের জন্যে হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন।

হাইকোর্ট উপ-আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের প্রয়োগ স্থগিত করলেও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেন। ফলে সিইউডিসিসি কোর্স সম্পন করার পরও মনোনয়ন পত্রের সাথে দাখিল না করার কারনে নির্বাচন কমিটি খোদ রীট পিটিশনার ডেভিড প্রবিনের মনোনয়নপত্র বাতির করে দেন। তেমনি চেয়ারম্যান প্রার্থী আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সিইউডিসিসি কোর্স না করার কারনে মনোনয়ন বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তার নামে ব্যালট মৃদ্রনও স্থগিত করেন নির্বাচন কমিটি। কিন্ত কোন এক অদৃশ্য কারনে শেষ সময়ে এসে কোন পত্র ইস্যু করা ছাড়াই তার প্রার্থীতা বহাল রেখে দেন। আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ প্রদান অথবা মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা স্পষ্টত: কেবল সমবায় আইন,বিধি বা কালবের উপ-আইনের লংঘন নয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশেরও লংঘন। দৃশ্যত: এই বেআইনি কাজ করেছেন নির্বাচন কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত নিবন্ধক কাজী মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ,সদস্য যুগ্ম নিবন্ধক শেখ মো: কামাল হোসেন এবং সদস্য পরিদর্শক তায়েফ মো:মোশারফ হোসেন চৌধুরী।

নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তৎকালিন নিবন্ধক তরুন কান্তি শিকদার ও ঢাকা বিভাগের যুগ্ম নিবন্ধক রিয়াজুল কবির সহ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। এহেন অবৈধ কাজকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টার পশ্চাতে ”কোটি টাকার” আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে সমবায় অধিদপ্তরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। ঠিক কত টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহনে অযোগ্য প্রার্থী আগষ্টিনকে কালবের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন এটাই কালবের ডেলিগেটদের প্রশ্ন।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, আগষ্টিন পিউরিফিকেশন-কে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা সম্পূর্ণ বেআইনী। তিনি বেআইনী ভাবে কালবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।আর আকু অনুমোদিত কালব পরিচালিত সিইউডিসিসি কোর্সের বিকল্প হিসেবে, কাককো প্রদত্ত সিইউএমডিসিসি সনদ কখনো গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এটা কোন কর্মে যখন সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে সনদ চাওয়া হয়;তখন তার স্থলে সরকারি অনুমোদন ব্যতিত পরিচালিত কওমি মাদ্রাসার থেকে সনদ নিয়ে দাখিল করার শামিল। সমবায় অধিদপ্তর ও নির্বাচন কমিটি আইন আদালতের সাথে কৌশলে প্রতারনা করেছেন। নির্বাচনে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের প্রার্থীতা বৈধতা দেয়া চ্যালেঞ্জ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কালবের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জোনাস ঢাকী আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্ত রহস্যজনক কারনে পিছু হটেন। এদিকে কালবের ডেলিগেটদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগষ্টিন পিউরিফিকেশন অর্থ ও পেশি শক্তিতে বলিয়ান হওয়ায় গুম,খুন ও জেল জুলুমের শিকার হতে পারেন এমন আশংকা থেকে তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না এবং প্রকাশ্যে কোন প্রতিবাদও করতে পারছেন না। এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও নাম প্রকাশ না করার শর্ত ব্যতিরেকে কোন ডেলিগেট বক্তব্য দিতেও রাজি হচ্ছেন না। যদিও ১৬/৬/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত কালবের বার্ষিক সাধারন সভায় একজন ডেলিগেট বিগত নির্বাচনে সিইউডিসিসি সনদের বিকল্প ব্যহারের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে আলোচনা করতে চাইলে;চেয়ারম্যান কৌশলে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ বন্ধ করে দেন। ফলে কালবের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা ”অবৈধ” চেয়ারম্যানের সদল বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে সংবর্ধনা গ্রহন অসহায়ের মত অবলোকন করছেন।

সূত্রমতে, নির্বাচনের প্রাক্কালে কালবের উপ-আইন সংশোধন চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং-১১৮০৮/২০২২ মুলে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) এর ২১/১১/২০১৯ তারিখের স্বারক নং-৩১৬(২)মুলে অনুমোদিত সমিতির সংশোধিত উপ-আইনের ২৭ ধারার ২,৪,৫ ও ৬ উপধারা স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে উপ-আইন সংশোধনের কারনে কোন প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাখ্যান বা না মঞ্জুর না করার আদেশ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য,উক্ত রীট অতিগোপনীয়তার সাথে করা হয় যাতে প্রতিপক্ষ অবগত হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে না পারে। এমনকি হাইকোর্টের কজলিস্টের তথ্যেও জালিয়াতি করা হয়েছে। কজলিস্টে রীট পিটিশনারের নাম ডেভিড প্রবিন রোজারিও না লিখে লেখা হয়েছে”প্রবির রেজা” এবং বিবাদি যেখানে কালবের নির্বাচন কমিটি সেখানে লেখা হয়েছে”বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন”। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে,এটা কোন মতেই অনিচ্ছাকৃত বানান ভূল নয়।বাদির প্ররোচনার সংঘবদ্ধ চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ভূল তথ্য সংযোজন করেছে যাতে প্রতিপক্ষ রীটের আদেশ সম্পর্কে জানতে না পারে। এই কাজে কোর্টের সংশ্লিষ্ট স্টাফদের সাথে এডভোকেট তাসাদ্দুক হাসানের যোগসাজস রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। সমবায় অঙ্গনের জাল জালিয়াতির উদ্ভাবক খ্যাত এডভোকেট তাসাদ্দুক হাসান আইনের ফাঁক ফোঁকরে ও আদালত-কে মিস গাইড করে কিভাবে সমবায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখা যায় এবং অনিয়ম দুর্নীতি করা তা বাতলিয়ে থাকেন।

রীট পিটিশন নং-১১৮০৮/২০২২ এর বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের আপীলেট ডিভিশনের ফুল বেঞ্চ কর্তৃক রীট পিটিশন ১১৮০৮/২০২২ বিষয়ক ১২/১০/২০২২ তারিখের স্থগিতাদেশ ও নির্দেশনা স্থগিত করা হয়। রীট পিটিশন নং- ১১৮০৮/২০২২ মুলে হাইকোর্টের স্থগিত আদেশের প্রেক্ষিতে কালব এর উপ-আইনের ২৭ ধারার ২ উপধারা মোতাবেক ক্রেডিট ইউনিয়ন ডিরেকটর কম্পিটেন্সি কোর্স(সিইউডিসিসি) সনদ দাখিল না করা সত্ত্বেও প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সুপ্রীম কোর্টের আপীলেট ডিভিশনের ফুল বেঞ্চ কর্তৃক রীট পিটিশন নং ১১৮০৮/২০২২ বিষয়ক ১২/১০/২০২২ তারিখের স্থগিতাদেশের কারনে কালব এর উপ-আইনের ২৭ ধারার ২ উপধারা মোতাবেক ক্রেডিট ইউনিয়ন ডিরেকটর কম্পিটেন্সি কোর্স(সিইউডিসিসি) সনদ দাখিল না করার কারনে ১০/১১/২০২২তারিখে নির্বাচন কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত নিবন্ধক কাজী মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে পরিচালক প্রার্থী ডেভিড প্রবীন রোজারিও’র মনোনয়ন বাতিল করেন। অথচ সিইউডিসিসি কোর্স সম্পন্ন না করা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান পদপ্রাথী আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা না করে নির্বাচন কমিটি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ লংঘন করেছেন।

উল্লেখ্য, ৭/১১/২০২২ তারিখে সুপ্রীম কোর্ট এর রায়ে সিউডিসিসি বহাল রাখার আদেশ প্রদান করা হয়। ৯/১১/২২ তারিখে থাইল্যান্ড ভিত্তিক এসোসিয়েশন অব এশিয়ান কনফেডারেশন অব ক্রেডিট ইউনিয়ন (আকু ) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলেনিটা ভি. স্যান রক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিউডিসিসি কোর্স কে তাদের কপিরাইট করা দাবি করে বলা হয় সিউডিসিসি কোর্স পরিচালনার জন্যে বাংলাদেশে কালব একমাত্র আকুর মনোনীত সংস্থা। কালব আকুর সদস্য। যেকারনে আকু এই কোর্স পরিচালনার জন্যে কালব কে কোর্স কারিকুলাম,রিসোর্স পারসন সরবরাহ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে। যে কারনে বাংলাদেশে কালব ব্যতিত অন্যকোন সংস্থা এই নামে বা এই রূপে কোন কোর্স পরিচালনা করতে পারে না।
তাছাড়া, ৮/১১/২০২২ তারিখে কালবের জিএম প্যাট্রিক পালমা উপ-আইন ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ উল্লেখ পূর্বক নিবন্ধক বরাবর এক চিঠিতে সিউডিসিসি কোর্স বাধ্যতামূলক প্রতিপালনের বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরও; সিউডিসিসি কোর্স সম্পন্ন ব্যতিত আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিটি। আবার সিউডিসিসি কোর্স সম্পন্নকারী পরিচালক প্রার্থী ডেভিড প্রবীন রোজারিও সনদ জমা না দেয়ার কারনে তার প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করে দ্বৈত নীতি অবলম্বন করেছে নির্বাচন কমিটি।

অন্যদিকে ২৯/৯/২০২২ তারিখে স্বাক্ষরিত দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস(কাককো) কর্তৃক প্রদত্ত ক্রেডিট ইউনিয়ন ম্যানেজমেন্ট এন্ড ডিরেকটর কম্পিটেন্সি কোর্স(সিইউএমডিসিসি) নামে একটি জাল সনদ সমবায় অধিদপ্তরের ২৫/১০/২০২২ তারিখের আপিল শুনানীকালে দাখিল করেন আগষ্টিন পিউরিফিকেশন।যদিও উক্ত সনদ নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেননি তিনি। আবার জাল সনদ তার জালিয়াতির স্বাক্ষর নিজেই বহন করেছে। সনদে প্রদানের তারিখ উল্লেখ থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী কোর্স সম্পন্নের সময় কাল উল্লেখ নাই। এমনকি বানানেও ভূল আছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, কাককো ক্রেডিট ইউনিয়ন ম্যানেজমেন্ট এন্ড ডিরেকটর কম্পিটেন্সি কোর্স(সিইউএমডিসিসি) নামে কোন প্রশিক্ষণ কোর্স কখনো পরিচালনা করেনি। নেই কোন কোর্স কারিকুলাম। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, কাককো কালবের মত ক্রেডিট ইউনিয়নের কোন ফেডারেশন নয়। কাককো খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সকল ধরনের সমবায় সমিতির সমন্বয়ে গঠিত একটি জেনারেলাইজড কেন্দ্রীয় সমিতি। সুতরাং কাককোর তো ”ক্রেডিট ইউনিয়ন কম্পিটেন্সি” কোর্স পরিচালনা করার কথা নয়। করলে তো নিয়ম অনুযায়ী কাককোর ” কো-অপারেটিভ ডিরেকটর কম্পিটেন্সি”কোর্স পরিচালনা করার কথা। এবিষয়ে কাককোর ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সাবেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার একান্ত শর্তে বলেন,কাককো ক্রেডিট ইউনিয়ন ম্যানেজমেন্ট এন্ড ডিরেকটর কম্পিটেন্সি কোর্স(সিইউএমডিসিসি) নামে কোন কোর্স এখন পর্যন্ত পরিচালনা করেছে এটা আমি কোন দিন শুনিনি। আপনারা তদন্ত করলেই সত্যাসত্য জানা যাবে। এতেই স্পষ্ট যে কাগুজে কোর্সের জাল সনদ এটি। আর কাককো অথবা অন্যকোন সংস্থা প্রদত্ত জাল অথবা প্রকৃত কোন সনদই কালবের সিউডিসিসি কোর্স এর বিকল্প হতে পারে না বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন। বিকল্প সনদ গ্রহন করে নির্বাচন কমিটি কেবল কালবের উপ-আইন নয় সুপ্রীম কোর্টের আদেশও লংঘন করেছে।

উল্লেখ্য,চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সিউডিসিসি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন না হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিটি কর্তৃক তার মনোনয়নপত্র বহাল রাখায় কালবের ট্রেজারার এম জয়নাল আবেদীন উক্ত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার জন্যে সমবায় অধিদপ্তরে আপিল আবেদন(আপিল নং-৪/২০২২(ক্রেডিট) তারিখ ২৫/১০/২০২২) করেন। ২৭/১০/২০২২ তারিখে আপিলের শুনানী শেষে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক এক উদ্ভট রায় প্রদান করেন। রায়ে বলা হয়”বর্নিত প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র কালব হতে গ্রহনের বাধ্যবাধকতা উপআইনে উল্লেখ নেই। এই ধরনের বাধ্যতামুলক প্রশিক্ষনের কোর্স মডিউল সমবায় অধিদপ্তর হতে অনুমোদন গ্রহন করা হয়নি। মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশন কর্তৃক দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস(কাককো) কর্তৃক একই ধরনের ক্রেডিট ইউনিয়ন ম্যানেজমেন্ট এন্ড ডিরেকটর কম্পিটেন্সি কোর্স(সিইউএমডিসিসি) সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজেই আপিলাত কর্মকর্তা কর্তৃক এম জয়নাল আবেদীনের আবেদন খারিজ পূর্বক নির্বাচন কমিটি কর্তৃক চেয়ারম্যান প্রার্থী আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা যায়”। সিউডিসিসি কোর্স সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নিবন্ধকের এই রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। হাইকোর্টে কালবের উপআইনে বর্নিত ও কালব পরিচালিত সিইউডিসিসি কোর্স করা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্যে রীট করা হয়েছে। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশও জারি করেছিল যা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেয়।

যেখানে আলোচ্য বিষয় আকু নির্দেশিত ও কালব পরিচালিত সিইউডিসিসি কোর্স সেখানে অন্য প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন নামে সিইউএমডিসিসি কোর্স বিকল্প হিসেবে টেনে আনার সুযোগ নেই। বাধ্যবাধকতা ও কোর্স মডিউল অনুমোদনের বিষয়ও অবান্তর। উপআইনে কালবের পরিচালিত সিইউডিসিসি কোর্সের কথাই বলা হয়েছে। আর সমবায় অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষনের কোর্স মডিউলের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা সমবায় আইন বা বিধিমালায় নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কালবের উপ-আইন যেহেতু সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত সেহেতু উপ-আইনে সন্নিবিষ্ট সিইউডিসিসি কোর্সও সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত বলে বিবেচিত হবে। তাছাড়া, সিইউডিসিসি কোর্সের প্রণেতা আকু। কোর্স মডিউল আকু সৃষ্ট। কালব কেবল এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে উক্ত কোর্স পরিচালনা করে।

যেমন অন্যান্য দেশে আকুর মনোনিত সংস্থা উক্ত কোর্স পরিচালনা করে। সকল বিবেচনায় নিবন্ধকের উক্ত রায় সুবিধাপুষ্ট,নীতিভ্রষ্ট ও অত্যন্ত চাতুরতার সাথে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লংঘন বলে সমবায় বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
এমতাবস্থায় সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক আদালত অবমাননার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্ব প্রণোদিত রুল জারির প্রত্যাশা করছেন কালবের অসহায় ডেলগেটগণ।