২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:০২
শিরোনাম:

দুনীতির শীর্ষে স্বাস্থ্য প্রকৌশলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, পরিচয় দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ভগ্নিপতি

বিশেষ প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার জালিয়াতি, নিন্মমানের কাজ ও অনিয়মের মাধ্যমে বিল তুলে নেয়া সহ নানা কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলা শহরের নির্বাহী প্রকৌশলী-সহকারী প্রকৌশলী-উপ সহকারী প্রকৌশলীরা। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।

এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন। সম্প্রতি এনিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী তফসির ঘোষনার পরে বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছে। বিশেষ করে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে পদে যেতে চান। তার ভগ্নিপতি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি রাজনৈতিক প্রভার ঘাটিয়ে ৩জনকে ডেঙ্গিয়ে বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হয়েছেন।

গত ৫ বছরে এ দু’জনের সীমাহীন দুনীতি, করোনার সময় সীমাহীন অনিয়ম-দুনীতি অতীতের সকল অবস্থাকে হার মানিয়েছে। কথা বলেন, তারা যেন বেতন নির্ভর মানুষ। কিন্তু শিঘ্রই দুদকের হস্তক্ষেপ পরবে এরকম তথ্য শোনা যাচ্ছে। জেলা শহরগুলোতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিটি ভবনই এই ডিজাইনের হয়। কিন্তু এই ডিজাউন পাশ করতে হয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনে হাতে। আর চ’ড়ান্ত অনুমোদন দেয় তিনি। জেলা শহরের কোন প্রকৌশলী কথা বলতে পারেন না প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে। আর মিটিং এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে এটাই বলা হয়। কিন্তু ১০ পারসেন্ট কমিশন তা আলোচনা বা প্রধান প্রকৌশলীর কানে যায় না। যত কাজ তত কমিশন। কারো এতো জোর নেই যা প্রধান প্রকৌশলীর কাছে এটা বলে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এনিয়ে অসংখ্য ফাইল জমা পড়ছে। এখন সরকারের অবস্থান কিছুটা নিরপেক্ষ হওয়াতে প্রথমত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক থেকে চিঠি আসবে। যার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঘুষ-দুনীতির চেয়ে এই দুদকের দেয়া চিঠি বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে, সম্প্রতিক কালে যেখানে যেখানে সম্পদ তৈরি করেছে তার হিসাব।সবচেয়ে বিপদে আছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।

একাধিক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের দুনীতিবাজ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের একাধিকবার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। বর্তমানে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দুনীতিবাজ কর্মকর্তাদের দূরে রাখছেন। কিন্তু আনোয়ার হোসেন এগুলোর তোয়াক্কা করেন না। তিনি পরিচয় দেন ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ করেন। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তার ভগ্নিপতি।

তার চাকরি জীবনে সব চেয়ে বেশি সময় তিনি ঢাকাতে আছেন। পাশাপাশি যে পদে অবৈধ পন্থায় আয় করা যায় সে সব পদ তাকে বেশি টানে। নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে আলোচনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল না মানা, প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ প্রাক্কলন ব্যয় এবং নিম্নমানের স্থাপনা নির্মাণের মতো অনিয়মের অভিযোগ আসছে অহরহ। এ ঘটনা নিয়মিত ঘটছে সংস্থাটিতে।

এতে করে একদিকে সরকারের শত শত কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে জড়িত আছে একটি চক্র। এই চক্রে শীর্ষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক বর্তমানে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের নাম আসে। এখানে সকল ভবন একই ভাবে তৈরি হবার কারণে প্লানিং বিষয়ে কোন বরাদ্দ বা এস্টিমেটে উল্লেখ থাকে অন্য ভাবে। কিন্তু এই চক্রটি ঠিকাদারদের কাছ থেকে এ বাবদ বড় অংকের টাকা নিয়ে থাকে। এই চক্রটি করোনার সময় মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেট এবং বসুন্ধরাতে সেবা কেন্দ্র করার সময় বিভিন্ন ভাবে টাকা নিয়েছে। এই চক্রের কারণে করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা করতে পারেনি। তার অবহেলার কারণে মারা গেছে অর্ধশত মানুষ।

অন্যদিকে দেশব্যাপী নির্মিত স্বাস্থ্য স্থাপনাগুলো মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। এসব অনিয়ম তদন্তে মাঝেমধ্যে তদন্ত কমিটি হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। উপরন্তু দোষীদের পুরস্কৃত করে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন সূত্রে অনিয়মের নানা চিত্র ধরা পড়েছে।