৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৩৯
শিরোনাম:

গজারিয়ায় প্রাইমারি বিদ্যালয়ের নীতিমালা মানছেন না প্রধান শিক্ষকগন—কর্ম ঘন্টার পূর্বেই ছুটি-

স্টাফ রিপোর্টার:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের ৭১ নং আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের নিয়মের উপর।
প্রজ্ঞাপন বা নীতিমালায় প্রাইমারি বিদ্যালয়ের রবিবার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সূচি সকাল ৯ ঘটিকা হতে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত পাঠ দান নির্ধারণ করা থাকলেও অধিকাংশ স্কুলগুলিতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা।
২১-১-২০২৪ রোজ রবিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় ৭১ নং আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এবং বিদ্যালয়ের সমস্ত কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। বিদ্যালয় তালাবদ্ধ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় জাতীয় পতাকা উড়ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পঞ্চম শ্রেণির পুরোয়া এক ছাত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি এবং প্রতিদিন ২ ঘটিকায় ছুটির অনিয়মের কথা স্বীকার করেন। ওই ছাত্র কথা বলতে বলতে পতাকা নামিয়ে  শারীরিক অঙ্গভঙ্গ  দেখাতে থাকে পতাকা হাতে নিয়ে এবং জানালার ফাঁক দিয়ে জাতীয় পতাকা বিদ্যালয়ের ভিতর প্রবেশ করিয়ে দেয়।
                                                                             শিক্ষকদের নির্ধারিত সময় পূর্বে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার কারণ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে জানা যায় প্রতিদিন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক দুপুর ২ ঘটিকার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে চলে যায়।
বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধের বিষয়টি জানার জন্য প্রধান শিক্ষক আব্দুল হকের নিকট মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তৎক্ষণাৎ বিদ্যালয় কর্ম ঘন্টার পূর্বে ছুটি ও তালাবদ্ধের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসাইন কে অভিহিত করলে উক্ত বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এবং ঐদিন বিকেলে  নিউজ লেখা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিলেন তা জানাতে পারেনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়গুলি সরকারি নির্দেশনা যথাযথ উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের তদারকির ঘাটতি থাকায়  প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ সময় মতন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ও চলে যাওয়ার বিষয়টি নিজেদের  খেয়ালখুশি মতো ও সহকারি শিক্ষা অফিসারদের ম্যানেজ করে চলে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
উপজেলা বেপি শিক্ষা অনুরাগী ও সচেতন মহলের প্রশ্ন গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারি শিক্ষা অফিসারের কাজ কি, তারা কি অফিসে বসে বিদ্যালয় পরিদর্শনের স্বাক্ষর বহিতে অর্থের বিনিময়ে সাদাকে কালা কালা কে সাদা স্বাক্ষর দিয়ে নিজের পকেট ভরেন।
এছাড়াও উক্ত বিদ্যালয়টির ২০২১-২০২২-২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের অবকাঠামো উন্নয়নের স্লিপের  টাকা ,রুটিন মেন্টেন্স,
ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ ও প্রাক্কলন তৈরিতে উপজেলা প্রকৌশল অফিস কে নিজেদের পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করা ও প্রত্যায়ন প্রদান করতে বাধ্য করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।