২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৫৯
শিরোনাম:

শিশু নির্যাতন ও হত্যাকারীদের কঠোর সাজা পেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সময়ের মতো যদি শিশু হত্যার বিচার হতো তাহলে হত্যার মতো ঘটনা ঘটতো না। আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য অনেক কিছু করতো। -সময় টেলিভিশন

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর বয়সে রাসেল দেখতে কেমন হতো? বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত চোখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রী।যখন সে আব্বা বলে ডাকতো তখন মা বলতো, আমি তোমার আব্বা।আমাকেই আব্বা ডাকো। সেই জন্যই সে জেলখানায় গিয়ে আব্বাকেও আব্বা বলে ডাকতো, আম্মাকেও আব্বা বলে ডাকতো।

তিনি বলেন, সবাই যদি চাইতে পারে তাহলে আমি কেন বিচার চাইতে পারবো না। ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার না করে তাদের মুক্ত করা হয়েছিলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট রাসেল যখন তার দু’বছর পুরণ হয়নি তখই সে পিতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। যেদিন আমরা জেলখানায় যেতাম সেদিন সে খুব অস্থির থাকতো।এভাবেই সে বড় হয়ে ওঠে।

তিনি আরো বলেন, সব শিশুকে খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে তাদের গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।আগামী দিনের প্রজন্মের কথা মাথায় রেছে ডেল্টা প্লান ২১০০ হাতে নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ আর দারিদ্রথাকবে না, সবাই উন্নত জীবন পাবে।

এসময় তিনি উপস্থিত শিশুদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, তোমাদের পাশে যারা প্রতিবন্ধী আছে তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ না করে তাদের সাহায্য করবে।

তুহিন হত্যা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কী আশ্চর্য ব্যাপার বাবা হয়ে সন্তানকে হত্যা করে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য, কতো জঘন্য।