২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৪০
শিরোনাম:

হঠাৎ লবন শূণ্য শরণখোলার হাট-বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে প্রশাসন

নইন আবু নাঈম, বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ দাম বাড়ার গুজবে বাগেরহাটের শরণখোলায় লবন কেনার হিড়িক পড়েছে। বুধবার
বিকেল থেকে বস্তায় বস্তায় লবন কিনতে শুরু করেছে সাধারণ ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা। এই সুযোগে পাইকারি দোকানদারেরা দামও বাড়িয়ে দিয়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা। সন্ধ্যার মধ্যেই লবন শূণ্য হয়ে পড়ে উপজেলার হাট- বাজার। এদিকে, হঠাৎ করে লবনের মূল্য বৃদ্ধির খবর শুনে আজ সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন বাজার তদারকিতে নেমেছে। শরণখোলা থানা পুলিশের পক্ষ হতে মাইকিং করে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। লবন গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবাইকে শতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. কুদ্দুস পহলান জানান, তিনি সন্দ্যায় রায়েন্দা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সরোয়ারের দোকান থেকে ৩৫টাকা দামের এক প্যাকেট খাবার কিনেছেন ৫০টাকায় এবং রান্নায় ব্যবহারের ২০টাকার লবনকিনেছেন ৩০টাকায়।

আবার পিঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছে, লবনের দামও একই রকম বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় অনেকই বেশি বেশি লবন কিনে রাখছেন। এছাড়া, লবনের দাম বৃদ্ধির খবর টের পেয়ে বলেশ্বর নদী পাড়ি দিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া বাজার থেকে মো. পলাশ নামের এক খুচরা দোকানদার এসেছিলেন রায়েন্দা বাজারে। তিনিও সরোয়ারের দোকান থেকে ২৫
প্যাকেটেরে ৪০০টাকা মূল্যের এক বস্তা খাবার লবন কিনে নিয়ে গেছেন ৫০০টাকায়। রায়েন্দা বাজারের হাওলাদার স্টোরের কর্মচারী অলোক কুমার জানান, বিকেলে লবন কেনার জন্য দোকানে ভিড় পড়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক বস্তা লবন বিক্রি হয়ে যায়। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিকেল থেকেই লবন বিক্রি বেড়ে যায়। বাড়তি দামেও বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক ব্যবসায়ী আবার বেশি মুনাফার আশায় লবন মজুদ করতেও শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। ক্রেতারা কিনতে গেলে লবন নেই বলে জানানো হচ্ছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, গুজবে কান না দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশের টিম রয়েছে। ব্যবসায়ীদের এক- দুই প্যাকেটের বেশি লবন বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, লবন গুজবের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাজার মনিটরিংয়ে নামা হয়েছে। হাতেনাতে ধরতে না পারলেও কিছু অনিয়মের কথা শোনা গেছে। বর্তমানে বাজার নিয়ন্ত্রনরয়েছে। আপাতত পাইকারি বিক্রি কন্ধ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই, দেশে পর্যাপ্ত লবন মজুদ রয়েছে।