২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৫২
শিরোনাম:

ব্লাড ব্যাংকের রক্ত বেচে কোটিপতি মোসাদ্দেক হোসেন

ব্লাড ব্যাংকের রক্ত বেচা টাকায় কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক মোসাদ্দেক হোসেন অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন; তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ- রাজশাহী উপ-শহর ২নং সেক্টরে “মৌ ভিলা” নামে বিশাল বিলাস বহুল বাড়ী, উপ-শহরে অর্ধ-কোটি টাকা মুল্যের আরো একটি বাড়ী করার জমি, রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় জমি কেনা।

তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ কোন রকমের বদলি ছাড়াই উপর মহলকে ম্যানেজ করে একই জায়গায় থেকে ব্লাড ব্যাংকে স্বেচ্ছায় দানের রক্ত অসহায়দের বিনামূল্যে না দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ বিভিন্ন জায়াগায় চড়া দামে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ। প্রতি ব্যাগ রক্ত প্রাইভেট ক্লিনিকে ৬০০ টাকা, মেডিকেলের পেইং বেডের জন্য ৪৫০ ও নরমাল বেডের রোগীদের কাছে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এভাবে বিক্রি করার টাকা থেকে আবার হাসপাতালের বর্তমান পরিচালককে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।

এদিকে টেন্ডারের মাধ্যমে মালামাল কেনার ক্ষেত্রে তার পছন্দ মত কোম্পানি যারা কিনা কমিশনের টাকা বেশী দেয় তাদের কাছ থেকেই কেনা হয়। আবার আধুনিক যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিদেশ থেকে দুইজন টেকনোলজিস্টকে ট্রেনিং করিয়ে আনা হলেও তাদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বদলি করে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ নভেম্বর দুদকের একটি টিম তদন্ত করে গেছেন বলে জানা যায়।

এসব অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে অধ্যাপক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও অসত্য। দুদক টিম ফিরে যাওয়ার পর প্রতি ব্যাগ ব্লাড এ ১০০ টাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে আর পরিচালক মহোদয়ের মাসিক ৩৫ হাজার টাকাও দেয়া বন্ধ করা হয়েছে যা রেজুলেশন অনুযায়ীই দেয়া হচ্ছিল। আমার সম্পত্তির বিষয়ে যে অভিযোগ তার বেশির ভাগই মিথ্যা আর যেটুকু আছে তা আমার হালাল রোজগারেই, যা দুদককে অবহিত করা হয়েছে।

অফিসিয়াল কাজ সম্পর্কে যে অভিযোগ তা সবই রেজুলেশন করা যা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়, বলেন তিনি।