৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:১৪
শিরোনাম:

থার্টি ফাষ্ট নাইট।।বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে হাজারোপর্যটক কুয়াকাটার সৈকতে

উত্তম কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :  ২০১৯ সালের পশ্চিম আকাশে শেষ সূর্যাস্তকে পেছনে ফেলে২০২০ সালে পুবে আকাশে প্রথম সূর্যোদয় দেখতে দেশী-বিদেশী হাজারোপর্যটক কুয়াকাটার সৈকতে জড়ো হয়েছে। মৃদু বাতাসে নারিকেলকুঞ্জ,ঝউবাগানের পত্রমালা সাগরের ঢেউয়ের সাথে দোল খাচ্ছে। গোটা সৈকতেছোট ছোট ঝিনুক যেন কার্পেটের মতো বিছিয়ে রয়েছে। সাগরেরভেসে বেড়াচ্ছে পর্যটকবাহী ট্রলার, লঞ্চ ও ডিঙি নৌকা। প্রকৃতিও আজহাসছে পর্যটদের সাথে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ওআগত পর্যটকসহ অনেকেই সৈকতের বালুকা বেলায় সেই স্মৃতিটুকো ধরেরেখেছেন। থার্টি ফাষ্ট নাইট উপলক্ষ্যে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রকুয়াকাটার গোটা সৈকত জুড়ে যেন উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।ঘুরে দেখা গেছে, দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকরা সাগরেঢেউয়ের সঙ্গে গা ভাসিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।

কেউ সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি সৈকতের বালুতে পা ডুবিয়ে অন্যরকম আনন্দ-অনুভূতিতে আত্মহারা কেউ কেউ। কেউবা আবার হাতে থাকা র্স্মাটমোবাইলের সেলফি তুলে সাথে সাথে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেছড়িয়ে দিচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন,হোটেল-মোটেলেরসুবিধা ভাল থাকায় এবছর হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীর সমাগমহয়েছে কুয়াকাটায়। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেব্যাপক নজরদারীও ছিল চোখে পড়ার মেতো।সৈকতে দাড়িয়ে কথা হয় পর্যটক মো.শাহিন আলম সাথে। তিনি জানান,এই প্রথম কুয়াকাটায় আসা। প্রকৃতিকে একটু কাছে থেকে দেখারসুযোগ কমই হয়।

এখানকার সবকিছুই সুন্দর। একই স্থানে দাড়িয়েসূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মতো মনলোভা দৃশ্যও দেখেছি। আর বেশকিছুস্মৃতি মোবাইল ধারন করে রেখেছি। তবে রাতে কুয়াকাটার সৈকত ছিলেঅন্ধকারাছন্ন। আলো ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো বলে তিনি জানিয়েছে।একাধিক আবাসিক হোটেল মালিক ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে তারাজানান, থার্টি ফাষ্ট নাইট উপলক্ষ্যে এখানকার হোটেল মোটেল আগেভাগেই বুকিং ছিলো।কুয়াকাটা সমুদ্র বাড়ী রিসোর্ট’র পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন,প্রতিবছরের মত এবারও থার্টি ফাষ্ট নাইট উপলক্ষ্যে ব্যাপক পর্যটক এসেছে।দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা রুম বুকিং এর জন্য এখনোযোগাযোগ করছে।কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোন’র সিনিয়র এ এসপি মো.জহিরুল ইসলামজানান, পর্যটদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টেমহিপুর থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশসহ আমাদের টুরিস্ট পুলিশ মোতায়ন ছিল।