৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:২৩
শিরোনাম:

চলতি মাসে প্রতিদিন ১১ ঘন্টা বিদুৎবিহীন থাকবে কলাপাড়া

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :  পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলতি মাসে ৩০৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবেনা। বরিশাল হইতে পটুয়াখালী পর্যন্ত ১৩২ কেভি লাইনের রক্ষনাবেক্ষন কাজের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কলাপড়া জোনালের ডেপুটি ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম
স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ০৪ জানুয়ারী ২০২০ থেকে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী কর্তৃক বরিশাল হইতে পটুয়াখালী পর্যন্ত ১৩২ কেভি জাতীয় গ্রীড লাইনে তার পরিবর্তনসহ রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করবে পল্লী বিদ্যুৎ। তাই প্রতিদিন সকাল ০৭টা থেকে সন্ধ্যা ০৬টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘন্টা কলাপাড়া, তালতলী ও আমতলী উপজেলাসহ পটুয়াখালী জেলার ০৭টি ও বরগুনা জেলার ০৪টি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হবে। এসময় রক্ষনাবেক্ষনের কাজের স্বার্থে বৈদ্যুতিক লাইন চালু করা হতে পারে বিধায় গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক লাইন স্পর্শ না করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে
অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মহিপুর বরফ কল মালিক সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী জানান, বিদ্যুৎ না থাকার ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ আমাদের এখনও অবগত করেনি। মহিপুর-অলীপুরের ৩০ টি বরফকল প্রতিদিন গড়ে ১৬ হাজার ক্যান বরফ উৎপন্ন করে। প্রতি ক্যানের মূল্য ১০০ টাকা। যদি টানা ২৮ দিন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে তাহলে ব্যাপক লোকশানের মুখে পড়বে বরফ কল মালিকরা। আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, বহিরাগত সহ মোট দুই হাজার মাছ ধরা ট্রলার রয়েছে মহিপুরে। ২৮ দিন বিদ্যুৎ না থাকলে সব মিলিয়ে ১৪ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়বে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, ১৩২ কেভি জাতীয় গ্রীড লাইনে তার পরিবর্তন রক্ষনাবেক্ষন কাজের জন্য ০৪ জানুয়ারী ২০২০ থেকে ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া খারাপের কারনে রক্ষনাবেক্ষনের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাই পূর্ব ঘোষিত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার তারিখ পরিবর্তন হতে পারে বিধায় এখনও মহিপুরে এখন চিঠি দেয়া হয়নি।