৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৩৫
শিরোনাম:

অকাল বর্ষনে কলাপাড়ায় ইট ভাটায়ব্যাপক ক্ষতি

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ারশীতকালীন ভাড়ি বর্ষনে ইটভাটার প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের কাঁচাইট সম্পূর্ণ নস্ট হয়ে গেছে। প্রতিটি ইটভাটায় শত শত শ্রমিক দিন-রাতএকটান শ্রমদিয়ে ইট প্রস্তুত করে। কিন্তু শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ভাড়ি ওগুড়ি গুড়ি বৃস্টিপাতে পানি জমে কাঁচা ইট নস্ট হয়ে গেছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,উপজেলার টিয়াখালী, নীলগঞ্জ ও চাকামাইয়াইউনিয়নের আন্ধামানিক নদীসহ বিভিন্ন নদীর তীরে ওঠা ব্রিকস এর মাঠেতৈরী করা কাঁচা ইট গুলো বৃস্টির কারনে কাঁদা মাটিতে পরিনত হয়েছে। ইটতৈরীর মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই দফা বৃস্টিপাত হওয়ায় প্রতিটিব্রিকসের প্রায় পাঁচ থেকে সাত লাখ কাঁচা ইট সম্পূর্ণ নস্ট হয়েগেছে।

এতে ৩০টির অধিক ইট ভাড়াটার প্রায় দেড় কোটি টাকালোকসান হয়েছে বলে ইটভাটা মালিকদের সূত্রে জানা গেছে।সাগর ব্রিকস এর মালিক শওকত হোসেন তপন বিশ^াস জানায়,পৌষেরমাঝামাঝি সময়ের অকাল বৃস্টিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৩০টির অধিকইটভাটার মালিকদের কয়েক কোটি কাঁচা ইট নস্ট হয়ে গেছে। ইট তৈরীরপ্রথম মৌসুমে প্রতিটি ইটভাটায় শত শত শ্রমিক দিন-রাত একটানাশ্রমদিয়ে ইট প্রস্তুত করে। প্রস্তুত করা ইট রোদে শুকিয়ে চুল্লিতে দেয়ারআগ মূহুর্তে ভাড়ি বর্ষনে পুরোপুরি নস্ট হওয়ায় কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়েপরেছে প্রতিটি ইটভাটার মালিক। ইট নস্ট হওয়ায় ইটভাটার মালিকদের কমপক্ষেদেড় কোটি টাকার ইট সম্পূর্ণ নস্ট হয়ে গেছে। ইটভাটার মালিকদেরবর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে, আর্থিক লোকসান কাটিয়ে ওঠারসামর্থও নাই, সামাজি অবস্থানের কারনে আর্থিক সহায়তা পাওয়ারও কোনউপায় নেই। শুধু লোকসানের ভাবনায় তিলে তিলে নিজেদের বিপর্যস্ত করাছাড়া করার কিছুই থাকছেনা ইটভাটা মালিকদের।