৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৪৫
শিরোনাম:

বাংলাদেশি শ্রমিকরা সৌদি আরবে নিয়োগকর্তার নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পাবে

 সৌদি সরকার সংস্কারের অংশ হিসেবে বিদেশি কর্মীদের জন্য কাফালা বা স্পন্সরশিপ পদ্ধতি শিগগিরই বাতিল করতে যাচ্ছে। দেশটির সংবাদপত্র সৌদি গেজেটের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই কাফালা ব্যবস্থা বিলুপ্ত হলে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিসহ বিদেশি কর্মীরা নিয়োগকর্তার কঠোর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পাবেন। তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত হবে। সূত্র: ইত্তেফাক।

সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, অভিবাসী কর্মীদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কের মুখে কাফালা ব্যবস্থা শিগগিরই বাতিল করতে যাচ্ছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বিদেশি শ্রমিকদের সৌদি আরবে যাওয়া ও সেখান থেকে চলে আসার স্বাধীনতা থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের নিয়োগকর্তা বা স্পন্সরের অনুমোদন লাগবে না। এছাড়া সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কাজে যোগ দিতে পারবেন শ্রমিকরা।

প্রবাসী কর্মীদের প্রায় সাত দশক আগে প্রবর্তিত এই কাফালা ব্যবস্থায় নিয়োগকর্তার নির্দেশে চলতে হয়। এমনকি তাদের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে আসা-যাওয়া করতে পারে না। এক কথায় নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদের ভিসা ও আইনি অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করেন। এই ব্যবস্থা শুধু সৌদি আরব নয়, পুরো উপসাগরীয় দেশগুলোতে প্রচলিত রয়েছে। তবে সম্প্রতি কাতার এই ব্যবস্থায় কিছুটা সংস্কার এনেছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি কর্মীদের মূলত নির্মাণ ও গৃহকর্মে নিযুক্ত করা হয়। কাজের সময় তাদের নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়। মজুরি না পাওয়া, কম মজুরি প্রদানসহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রায়ই উঠছে। আর এটা বাতিল হলে তা হবে—সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা বলেন, বিভিন্ন সময় সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তারা জানিয়েছে যে, কাফালা ব্যবস্থায় সংস্কার আনবে। এই ব্যবস্থা বাতিল হলে সেটা আমাদের কর্মীদের জন্য খুবই ভালো হবে।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরব হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো শ্রমবাজার। বর্তমানে দেশটিতে ২৫ লাখের মতো বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। চলতি বছরের প্রথম মাসেই দেশটিতে গেছেন প্রায় ৫২