৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:৫৬
শিরোনাম:

“ফলোআপ” “সপ্তাহের ব্যবধানে দুই খুন গ্রেফতার নেই ।

নইন আবু নাঈমঃ বাগেরহাটের শরনখোলায় সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সম্পত্তি এবং পাওনা টাকার বিরোধ নিয়ে পৃথক ভাবে হত্যাকান্ডগুলো সংঘঠিত হয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় শরনখোলা থানায় রেকর্ড হওয়া দুইটি হত্যা মামলায় নারী-পুরুষসহ ৯ ব্যক্তিকে কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, হত্যাকান্ডের পর তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোড়েলগঞ্জ সার্কেল) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু গত ৮দিনেও জড়িতদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের স্বজন সহ স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ শাহ-আলম খন্দকারের বাড়ীর সীমানা নির্ধারনের মাত্র তিন হাত জায়গা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে ৮মে সকালে প্রতিবেশি মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকারের নেতৃত্বে ৬/৭ ব্যক্তি একজোট হয়ে দিন মজুর মোঃ শাহ আলম খন্দকার (৬০) কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। মুমুর্ষ অবস্থায় শরনখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ।

দুই দিন পর মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোসাঃ সাহিদা বেগম (৫০) বাদী হয়ে প্রতিবেশি মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকার (৪০), শাহজাহান খন্দকার (৫৫), আঃ লতিফ খন্দকার (৫২), নাইম হোসেন লিমন খন্দকার (২০), মাহাবুবা সুলতানা শাবানা (৪২) এবং মোসাঃ নাছিমা বেগম (৪০)কে অভিযুক্ত করে ১০মে রাতে শরনখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেন। অপরদিকে, পাওনা টাকা নিয়ে দন্ধের জেরে ১৪মে দুপুরে পিতা-পূত্রের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে মারা যান উপজেলার ধানসাগর গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ শামসুল হক শিকদারের ছেলে দিন মজুর আঃ সবুর শিকদার (৫০)। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী মোসাঃ হেলেনা বেগম (৪০) বাদী হয়ে ১৪মে রাতে শরনখোলা থানায় নিহত সবুরের ভগ্নিপতি মোঃ আলতাফ শেখ (৫৫) তার স্ত্রী-মোসাঃ সুরমা বেগম (৪৫) এবং মোঃ রাকিব হোসেন রনি (ওরফে) প্রিন্স (২৫) এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে, প্রকাশ্য দিবালোকে দু-দিন মজুরকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় খুনীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ধানসাগর এলাকার এক সমাজ সেবক বলেন, করোনায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত থাকায় পুর্বের তুলনায় শরনখোলার অপরাধ প্রবনতা বেড়েছে। তার মতে, জোরদার পুলিশী টহল সহ অপরাধ দমনে গ্রাম পুলিশদেরকে আরো দ্বায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে এবং যে কোন অপরাধ প্রবনতার বিরুদ্বে এলাকাবাসীর রুখে দাড়াতে হবে। এ বিষয়ে শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত অব্যাহত রয়েছে।