৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৪২
শিরোনাম:

অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর শিশু সিফাতকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করলো পুলিশ

ফিরোজ হাওলাদার পেশায় রঙ মিস্ত্রি। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মগবাজার ভাড়া বাসায় থাকেন। বড় ছেলের বয়স ১১ বছর। ছোট ছেলে সিফাতের বয়স ৪ বছর। বুধবার বাসার সামনেই খেলছিল সিফাত। পুলিশের দেওয়া আটায় রুটি বানাচ্ছিল তার মা। সকাল এগারোটায় সিফাতের মা চিৎকারে রুমের বাইরে আসে বাবা ফিরোজ হাওলাদার। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সিফাতকে। পরে দুপুর সোয়া একটায় অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে সিফাতের বাবার মোবাইলে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, ‘সিফাতকে অপহরন করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে সে তার ছেলেকে ফিরে পেতে পারে। পুলিশকে জানালে বা কোনরকম চালাকি করলে ছেলের লাশের খোঁজও পাবে না।

পরে মোবাইল ফোনে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশীদকে বিষয়টি জানান সিফাতের বাবা। অপহরনকারীরা সিফাতকে মেরে ফেলতে পারে – এই ভয়ে পুলিশের সঙ্গে ফিরোজ হাওলাদারকে যোগাযোগ করতে দিতে চাচ্ছিলো না সিফাতের মা। এক পর্যায়ে সিফাতের মা মোবাইল নম্বরটি বন্ধ করে ফেলে।

বিকেল সাড়ে ৩টায় ফিরোজ হাওলাদারের বাসা খুঁজে পায় পুলিশ। দুই বছর আগে তোলা সিফাতের একটি সাদাকালো ছবি নিয়ে সিফাতকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুকের তত্ত্বাবধানে এসআই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ওইদিন রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের একটি টং ঘরের দেয়াল ঘেষে ঘুমন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিফাতকে।

সিফাত জানায়, সে যখন বাসার বাইরে খেলছিল, তখন ‘মিলন মামা’ চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। মিলন কয়েক মাস ধরে সিফাতের বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করছিল। বাসায় প্রায়ই আসতো। মিলনকে মামা ডাকতো সিফাত। মিলনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।