২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৪০
শিরোনাম:

ফেসবুকে সাবরিনার ছবি নিয়ে নানা মন্তব্য, বিকৃতি আমাদের প্রায় গ্রাস করেছে!

ডা. সাবরিনা মনুষ্যত্বহীন অপরাধের সাথে জড়িত.. তাই অনেকেই তার নানা ভঙ্গির ছবি পোস্ট করে বেশ প্রশান্তি অনুভব করছেন.. তবে আমি নিশ্চিত সাবরিনা যদি অনুকরণীয় কোনো মানবিক কাজ করতেন তখনও আপনারা তার এই ছবিগুলো পোস্ট করে নানা বিকৃত মন্তব্য করতেন.. বিকৃতি আমাদের প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে.. । এই পোষ্ট দিয়েছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মাসুম রেজা, পোষ্টের নিচে এসব মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন জন।

Amir Uzzaman Tutul লিখেছেন,  আমি তোমার সাথে একটু differ করছি বন্ধু। তার এই কুৎসিত ছবিগুলো কিন্তু সে নিজেই সোসাল মিডিয়াতে আপ-লোড করেছিলো, কেও তাঁকে অনুরোধ করেনি। এতদিন তার এই ছবিগুলো সবাই যে চোখে দেখেছে বা সে দেখতে বাধ্য করেছিলো; এখন আর সে চোখে কেহ দেখছেনা, এখন দেখছে ঘৃণার চোখে, কারণ সে একজন জঘন্য অপরাধী।
এইক্ষেত্রে তাঁর আপলোডেড ছবিগুলো বা জনগণ কেহই দায়ী নয়। তার কুৎসিত রুচি দায়ী। এই সব দায়িত্ত্ব এখন তার নিজেকেই বহন করতে হবে তার অসৎ চরিত্র বা উদ্দেশ্যের জন্য। সে যেটা করেছে এটা একটা গোর্হিত অপরাধ। এই ধরনের সাবরিনাদের দ্বারা কোন অনুকরণীয় মানবিক কাজ কখনই সম্ভব নয়। তার নানা ভংগির ছবি পোষ্ট করা বা দেখার জন্য, এখানে জনগণকে কোন ভাবেই দায়ী করার কোন সুযোগ নাই।

Syeda Ratna লিখেছেন, বিকৃত মানুষ এতো বেশি এই সমাজে , গতকাল সাবরিনার লাইভে দেখেছি।। ছিঃ

Mohammad Jahangir Alam সেটাই ভাই। একজনের কমেন্টে বলেছিলাম এই ছবি আপলোড দিয়ে আপনি মজা দিচ্ছেন না পাচ্ছেন? রিপ্লাই দিলেন উভয়ই। আরেকজন বললেন তিনি তো দিছেন, তিনি দিয়েছেন তার মানসিকতার প্রকাশ করেছেন, আপনি তো তাঁর মানসিকতার না।

সাবিহা সাবু লিখেছেন, আমাদের আশেপাশে এমন বিকৃতরাই বেশি ভাইয়া! নারী/পুরুষ কেউই পিছিয়ে নেই!

Zahed Hasan Saimon লিখেছেন, চারদিকে বিকৃত লোকজনের ছড়াছড়ি

Naznin Hasan Joarder লিখেছেন,  বিকৃতি বাড়ছে… মানসিক বৈকল্য বাড়ছে… মানুষ নামে অমানুষে ঘিরে আছি আমরা…😪😪
Arif Hossain লিখেছেন,  সোশাল মিডিয়ায় এখন ভুল তথ্য আর বিকৃতির মহোৎসব চলছে। ভবিষ্যত অন্ধকার!

Firoz Alam লিখেছেন, যাদেরকে খুব কাছ থেকে অনেক দিন থেকে জানি তাদের আসল চেহারা দেখে অবাক হচ্ছি।

Ashoke Adhikary লিখেছেন, মানুষের মগজে নার্ভ সেলসহ বিভিন্ন উপাদান থাকে, তার মধ্যে ৬০% থাকে চর্বি, আর থাকে পানি। কিন্তু কিছু মানুষের (?) মগজ বীর্জময়। তারা নারীকে দেখে তাদের বীর্জময় মগজ দিয়ে, আর শুধু বিকৃত চিন্তা প্রসব করে। ডাক্তার সাবরিনার ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ সেসব বিকৃত চিন্তার উপজাত মাত্র। একজন অপরাধী সে নারী পুরুষ যেই হোক না কেন, তার সাথে তার শারীরিক গঠন, গাত্রবর্ণ, পোশাক বা আচরণ কোনক্রমেই সম্পৃক্ত নয়, এটা বুঝতে পরিমিতিবোধ থাকা প্রয়োজন, যা আমাদের অনেকেরই নেই।

যারা বলছেন এসব ছবি সাবরিনা পাবলিক করেছেন, তো ব্যবহার করলে দোষ কি? দোষ নেই ভাই। ওটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রকাশ। ইন্টারনেটে কিন্তু মিয়া খলিফার ছবিও পাবলিক। সুতরাং আপনি চালিয়ে যান, আপনাকে চিনতে সুবিধে হবে।
মাসুম রেজার এই পোস্টে দেখলাম কেউ একজন ছবি প্রকাশের পক্ষে বলেছেন এবং তাতে আমাদের পরিচিত অনেক বন্ধুরা তাদের ডান্ডায় ঝাঁন্ডা বেঁধে উল্লাস প্রকাশ করেছেন, লাভ ইমোজি দিয়েছেন কেউ কেউ। তাদেরকে কি বলব বুঝতেছি না, মনে হয় করোনাকালে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাদের জন্য আমার করুণা।

একজন রুচিবান মানুষ হিসেবে Masum Reza এই পোস্ট দিয়ে প্রমান করেছেন বরাবরের মতই তিনি মহান। স্যালুুট আপনাকে।

M Morshed Rusho লিখেছেন, …….”বিকৃতি আমাদের প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে” – দুঃখজনক হলেও এটাই এখন নির্মম সত্য 😪

Kamal Bayazid লিখেছেন,  ঠিক বলেছেন ভাই । আমি বুঝতে পারছিনা কারো ব্যক্তিগত ছবি কি চাইলেই পোষ্ট দেয়া যায় কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । শুনেছিলাম অপরাধ কে ঘৃনা করতে হয়।

Mehnaj Pervin লিখেছেন, মাসুম ভাই আমি ভদ্রমহিলার মানসিকতা বোঝার চেষ্ট করে ব্যর্থ। জাতীয় একটি হাসপাতালের কার্ডিও সার্জন মানে কিন্তু তিনি একজন অ্যাসেট। ওনার স্বামী মানে ইয়াবাখোর বিশ্বের প্রথম সারির বাটপারটার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ছবিগুলো তুলেছেন বা যে অপরাধ সে করেছে সেটা দেখেই অবাক হই। একজন ডাক্তারকে দীর্ঘসময় পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে বের হয়ে আসতে হয়। সে কতোইবা খারাপ হবে! মানে প্রাইভেট ক্লিনিকে বাড়ি দিয়ে মানুষকে ফতুর করে দেয়া! গরীব দেশে পয়সার ভুখা মানুষজন এসব করে আমরা যেন মেনেই নিয়েছি। তারপরও একজন চিকিৎসকের ব্যক্তিত্ব তার সব কিছুর মধ্যে ফুটে উঠবে তো। কথা বলা, সততা, নিষ্ঠা। সেটা চলন বলনেও৷ মিনি স্কার্ট পরা বা স্লিভলেস পরা তো বিবেচ্য বিষয় নয়। কিন্তু ওই যে বাটপারটার সাথে তার যোগসাজসে নানান বিকৃত কাজকারবারগুলোই যেন মেয়েটার হাসি বা কথার মধ্য দিয়েও ফুটে উঠছে। জিকেজির এক বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে সে বলছে বিয়ের আগে বুক ধড়ফড় করলে কি চিকিৎসা নেবে। পুরাই চুলকানি মার্কা কথাবার্তা। চিকিৎসক হয়ে সে যেটা করেছে ভাবতেই ভয় লাগে!!

Wasek Mottakinur Rahman লিখেছেন, তার সব ছবিই তো সুডৌল অংগ প্রদর্শনী। আমি অনেক খুজেও ভদ্র কোনো ছবি পাইনি। তবে এরেস্ট হওয়ার সময় সে ডাক্তারী এপ্রোন পড়া ছিলো। তার ডাক্তারী সার্টিফিকেট এর চাইতে শরীরটা আরো বড় এসেট। ওটা দিয়েই সে এতকিছু বাগিয়েছিলো।

Abm Saidul Haq লিখেছেন, অমার্জনীয় অপরাধ যখন কেউ ঘটায় তখন হাজারো ক্রোধাগ্নির বহুরূপী বর্ষণ এভাবেই হতে থাকে দেখে আসছি। কালচার।

Anwar Haque লিখেছেন, করাপশন দেশের মধ্যে থাকলে এক কথা ছিল। কিন্তু এই করাপশন যখন বিশ্বমানবতার জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে বিকৃতি গ্রাস না করে পারে?