২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৫৬
শিরোনাম:

চুলের পুষ্টিকর খাবার:

বলা হয়, মানুষের মাথার মুখের সৌন্দর্যর  সবচেয়ে বড় বিষয় হল চুল।  চুল সুন্দর না হলে সৌন্দর্য ততটা খোলে না। চুলের জন্য ও প্রয়োজন হয় সঠিক পুষ্টির।
চুল যদি মাথা থেকে কোন পুষ্টি উপাদান না পায় তাহলে শুধু সাম্পু আর তেল দিয়ে চুল পরা কমানো যাবে না।

স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে যেমন আমরা সুস্থ থাকি, তেমনি ত্বকও সুন্দর হয়- এটা মোটামুটি সবাই জানে। কিন্তু এটা জানেন কী, চুলের ওপরেও খাবারের প্রভাব পড়ে ব্যাপকভাবে? শ্যাম্পু ওইই কন্ডিশনার-এর পাশাপাশি আমরা কি খাচ্ছি তাও কিন্তু চুলের জন্য সমান জরুরি।খাবারের পুষ্টিগুণ চুলের উপাদান ও মাথার ত্বকের ওপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এখন আসা যাক  চুলের জন্য উপকারী কিছু খাবারের কথা।

ডিম :

এটি প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, সেলেনিয়াম, সালফার ও আয়রন। আয়রন চুলের গোড়ায় রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করে।

হাঁস-মুরগীর মাংস :

এসব মাংস প্রোটিনের উত্তম উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে চুলের স্বাস্থ্য উপযোগী উপাদান যেমন জিংক, আয়রন এবং ভিটামিন-বি।

সামুদ্রিক মাছ :

সামুদ্রিক মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা চুলকে করে তোলে শক্ত ও মজবুত। সামুদ্রিক প্রায় সব মাছেই রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সার্ডিন মাছ, ট্রাউট মাছ, স্যামন মাছ, টুনা মাছ ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩। অ্যাভোকাডো ও মিষ্টি কুমড়ার বীজেও রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড।

পালংশাক :
পালংশাক এ প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। হালকাভাবে সিদ্ধ করে একটু নুন-মরিচ দিয়ে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি বাহারি নানা পদে রান্না করেও খাওয়া যায় পালংশাক। আর কেবল পালংশাকই নয়, এমন নানা শাকই চুলের জন্য ভালো।

গাজর :
গাজর এ রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-এ। ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার  নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ উপকারী গাজর।  এটা চুলের গোড়াসহ মাথার খুলির শুষ্কতা রোধে উপকারী।  নানারকম রান্নাতেও গাজর রাখতে পারেন।

মটরশুঁটি :
চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান কেরাটিন। মটরশুঁটি ও ডাল এই প্রোটিনে সমৃদ। এতে চুলের বৃদ্ধি যেমন হবে, তেমনি চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে।

পাকা টমেটো :

টমেটোতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মাথার স্ক্যাল্প-এর রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। এর কারণে চুলের ফলিকল স্টিমুলেটেড হয়।

বাদাম :
নানা ধরনের বাদামে পাওয়া যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান এবং তেল ত্বক, চুল, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের জন্য দারুণ উপকারী।  প্রতিদিনই হালকা খাবার হিসেবে খাওয়ার জন্য নিজের সঙ্গেই অল্প কিছু বাদাম রাখতে পারেন।

ওট :
দস্তা, তামা, ভিটামিন-বি এবং ভালো মানের প্রোটিনে সমৃদ্ধ ওট। নিয়মিত খাবার তালিকায় ওট রাখতে পারলে বাড়ন্ত চুলের পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য সুফল পেতে পারেন আপনি।

কমলা লেবু :
ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস হচ্ছে কমলা লেবু। ভিটামিন সি এর অভাবে চুলের গড়া দুর্বল  হয়। ফলে চুল ভংগুর হয়ে যায়। ভিটামিন সি এর এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। ভিটামিন সি চুলের যত্নের পাশাপাশি আর ও অনেক কাজে উপকারি।

Dr Syeda samina mahjabin.
MBBS(WMCH)
PGT, DOC(Dermatology & Venerology)
Fellowship In Laser &Aesthetic Medicine
(Germany)
Medical Officer Of
“Central police line hospital ”
Medical Officer Of
“Dr Jhumu Khan Laser Medical Center”