প্রতারণা করতে ঢাকা থেকে নওগাঁর বদলগাছীতে গিয়ে ছেলেসহ আটক এসআই

ফারুক বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর বদলগাছীতে ত্বক্ষক নিয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের এক এসআইসহ, ৪ যুবক এবং এক নারী আটক হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বদলগাছী থানা পুলিশ তাদের আটক করে।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো: আশরাফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার আনুমানিক সকাল ৭:৩০টার দিকে ঢাকা রির্জাভ পুলিশের এসআই গোলাম মোস্তফা ছেলে ও তার ছেলের বন্ধুদের নিয়ে থানায় আসেন। তারা বদলগাছী থানার ওসি জোবায়ের হোসেনের কাছে তাদের ডিবি পরিচয় দেন এবং এসময় অভিযান চালানোর নামে তারা থানা পুলিশের সহায়তা চায়। এহেন ঘটনায় ওসি জোবায়ের হোসেনের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি তৎক্ষনাত বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন এবং ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরে এবং তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন-ঢাকা রিজার্ভ পুলিশের এসআই ও পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার দেউভোগ গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪৬), তার ছেলে শফিউল কবির রকি (২৩), ছেলের বন্ধু ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দি উপজেলার বালিখা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে সোহাগ (২১), জামালপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে পারভেজ (৩৬) ও নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের ওবাইদুল কবিরাজ এর স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫)।

আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ডিবির পোষাক এবং হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, “এ ব্যাপারে ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এর মধ্যে এক নারীসহ ৫জনকে আটক করা হয়েছে”। আটককৃতদের ভাষ্য মতে বদলগাছী সদরের আব্দুল আজিজ প্রামানিক এর ছেলে মোঃ ওবাইদুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে একটি ত্বক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে “ত্বক্ষক প্রতারনা” নাকি ডিবি পরিচয় দেয়ার পেছনে আরো অন্য কোন বিষয় লুকিয়ে আছে সেটি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরূদ্ধে থানায় প্রতারনা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত ত্বক্ষকটি বনবিভাগে হস্তান্তর করা হবে।

 উপজেলা পুলিশ সূত্রে জানাযায় যে, গোলাম মোস্তফা ইতোপূর্বে নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বদলগাছী থানায় কিছু দিন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। নওগাঁয় থাকাকালে স্থানীয়দের সঙ্গে তার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠে। সেই সূত্র ধরে ‘ত্বক্ষক’ নামে একটি প্রাণি বেচা-কেনার প্রতারণা করতে আসেন শুক্রবার। আটকের পর গোলাম মোস্তাফা বিষয়টি স্বীকার করেছেন থানা পুলিশের কাছে।