৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:২৩
শিরোনাম:

জাফরুল্লাহ চৌধুরী : ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি। এটা কোন উত্তর হতে পারে? এর প্রতিকার হল ন্যায়বিচার

 গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার কত দ্রুত একটা আইন করে ফেললো। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি। এটা কোন উত্তর হতে পারে? এটা শুধুমাত্র ড্রাইভেশন, এটা পথ কে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া। আসলে এর প্রতিকার হল ন্যায়বিচার। আর এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে দিনের নির্বাচন রাত্রে হয়েছিল। সেই নির্বাচনের পরে বিএনপির ৭০ জন প্রার্থী মামলা করেছিল। সেই মামলার জন্য একদিনও কোর্ট বসেনি। বিচারপতিরা তাদের বিবেকের কাছে এর জবাব কি দেবেন? কিন্তু তাদের কাজ হলো অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে দেওয়া। আর যারা নির্দোষ তাদেরকে আটক করে রাখা। কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ঘোরানো।

তিনি বলেন, ফাঁসি অত্যন্ত একটি ভুল কাজ। এরচেয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। দ্রুত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করলে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যারা ধর্ষক তাদের ৮০ পার্সেন্ট ধরা পড়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে বিচার করুন। আর যারা ধরা পরবে না তাদের জন্য আলাদা মামলা করেন। তাহলে দেখবেন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে উনি ক্ষমতা হারাবে। জনগণ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। জনগন যদি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে দেশ কল্যাণ কর হবে।

বিরোধী দলের সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আপনারা রাস্তায় নামুন। আমি হাটতে পারি না। আপনাদের সাথে চলতে না পারলেও আপনাদের পিছনে পিছনে থাকবো।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় স্মরণ মঞ্চ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।