৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৩৩
শিরোনাম:

আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ প্রথম ধাপে কিছু পৌরসভায় নির্বাচন শুরু

চলতি বছর থেকেই পৌরসভা নির্বাচন শুরু হবে ধাপে ধাপে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ প্রথম ধাপে কিছু পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে। মে মাসের মধ্যে ভোট সম্পন্ন করা হবে। তবে মোট কয়টি ধাপে ভোট নেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌরসভাসহ যেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হবে সেসব প্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ভোট নেওয়া হবে। এই ধাপে ২০-২৫টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হতে পারে।

সোমবার (২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হয়। আজ ইসির বৈঠকে পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। মে মাসের মধ্যে বেশির ভাগ পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কয়েকটি ধাপে পৌর নির্বাচন করতে হবে। হয়তো পাঁচটি ধাপে হতে পারে। তবে কয় ধাপে হবে তা এখনো ঠিক হয়নি।

সিইসি বলেন, সব পৌর সভায় ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। তবে ইউনিয়ন বা উপজেলা পরিষদের সব নির্বাচন ইভিএমে করা সম্ভব হবে না। কিছু সংখ্যক নির্বাচন হয়তো ইভিএমে হবে।

সিইসি নূরুল হুদা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বাংলায় রূপান্তরের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এই আদেশের নাম গণপ্রতিনিধিত্ব আইন-২০২০ করার চিন্তা করা হয়েছিল। তবে সেটি করা হচ্ছে না। বাংলায় রূপান্তর ছাড়া আর কোনো কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত ধারাগুলো এই আদেশ থেকে বাদ দিয়ে আলাদা একটি আইন করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। তবে যদি সরকার মনে করে আলাদা আইন করার প্রয়োজন নেই, তাহলে সেসব আরপিওতে রাখা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা গঠনের পর প্রথম সভা থেকে পৌরসভায় মেয়াদ শুরু হয়। একেকটি পৌরসভার প্রথম বৈঠক একেক সময়ে হয়েছে। সবগুলো পৌরসভার মেয়াদ একসঙ্গে পূর্ণ হবে না। যে কারণে সব পৌরসভায় একসঙ্গে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।