৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৪
শিরোনাম:

ত্যাগী কর্মীদের দুরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ত্যাগী কর্মীদের দুরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে। তাদের রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে।

একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয় থেকে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন।

৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল জিয়া সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জিয়া।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে, দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের শেকড়। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপি এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে, আওয়ামী লীগ নয়।

মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভূলন্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিলো যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনো ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি।

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডক্টর আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক এবং সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।