১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৫৩
শিরোনাম:

‘দিদি বলেছেন, শরীর গরম হলে ধর্ষণ কর, ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব’

ভারতের পশ্চিম বাংলায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ নতুন নয়। সে ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল মঙ্গলবার যা বললেন, তাতে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। দি ওয়াল/টাইমস অব ইন্ডিয়া

নারী সুরক্ষা প্রশ্নে কদিন আগে বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেছিলেন, এ ব্যাপারে বিজেপির নেতাদের বলার কোনও অধিকারই নেই। ওদের সম্পর্কে যা সব শুনি!..

মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে সভা ছিল অগ্নিমিত্রার। সেখানে তিনি বলেন, “দিদিমণি বলে দিয়েছেন, শরীর গরম হলেই ধর্ষণ কর। চাকরি দিতে পারিনি, তাই মনোরঞ্জনের জন্য ধর্ষণ কর। বলে দিয়েছেন, তোরা ধর্ষণ কর, আমি ক্ষতিপূরণ দেব।”

সেদিন কাকলির মন্তব্য নিয়ে কেউ সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে অগ্নিমিত্রা এদিন যা বলেছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া হওয়া স্বাভাবিকই ছিল। এর বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফরহাদ হাকিম বলেন, “পশ্চিম বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয়। উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতার লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্ষমতা থাকলে উনি যোগীর রাজ্যে গিয়ে এসব কথা বলুন।”

পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে গত প্রায় এক যুগ ধরে অশ্লীল বাক্যের ধারাবাহিকতা চলছে। কখনও সেই তালিকায় নাম উঠেছে সিপিএমের বিনয় কোঙার, অনিল বসু, আনিসুর রহমানদের। কখনও সেই তালিকায় এসেছেন তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম, অনুব্রত মণ্ডল, বেচারাম মান্নারা। বিজেপির দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরাও কম যান না। এবার সেই তালিকায় নতুন নাম অগ্নিমিত্রা পাল।

সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ সেলিম সমালোচনা করে বলেছেন, “এক অগ্নিকন্যাকে নিয়েই বাংলার মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা তার উপর আবার এই অগ্নিমিত্রা!”