৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:১০
শিরোনাম:

শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে নিয়ে ৩ কিলোমিটার হাঁটতে হল নারীকে (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম! এই ‘অপরাধে’ শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে আদিবাসী মহিলাকে ৩ কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে গুনা জেলায়। ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতা’র সমালোচনা করেছেন নেটাগরিকরা।

নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে কাঁধে চাপিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন ওই নির্যাতিতা। তাঁর পিছন পিছন হাঁটছেন বেশ কয়েক জন যুবক। তাঁদের হাতে লাঠি, ব্যাট। তাঁরা ওই মহিলাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছেন। বাইক নিয়ে মহিলার পিছন যেতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনকে।

জানা গিয়েছে, গুনা জেলার সাগাই এবং বাঁশখেদি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশও ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করেছে। এখনও অবধি ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে এই ঘটনায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামীর সম্মতি নিয়েই বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের। তিনি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কেও ছিলেন। গত সপ্তাহে, প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের লোক বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এবং প্রকাশ্যে এ ভাবে লাঞ্ছনা করে।

মধ্যপ্রদেশে মহিলাদের সঙ্গে মধ্যযুগীয় ব্যবহার এই প্রথম নয়। বিগত বছরেও এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই সব ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়ানোর পর সমালোচনাও হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু তা মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। ২০২০-র জুলাইয়ে সেখানকার ঝাবুয়া জেলাতে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছিল স্বামীকে কাঁধে নিয়ে এ ভাবে ঘুরতে। সেই অবস্থাতেই লাঠি করে গ্রামবাসীরা মারছিলেন তাঁকে। গ্রামবাসীদের লাঞ্ছনা মহিলার উপর হওয়া অত্যাচারকে আরও বর্বর করে তুলেছিল। ২০১৯ সালের এপ্রিলেও আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীকে কাঁধে নিয়ে ঘোরার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল এক মহিলাকে। আনন্দবাজার