৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:২৪
শিরোনাম:

মীরজাফর ও খন্দকার মোশতাকের পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় বিশ্বাসঘাতক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করেছিলেন। দেশের নাম বাংলাদেশ রেখে কার্যত পাকিস্তানে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে তিনি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিএনপি ৭ মার্চকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে। কার্যত ৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধু প্রকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হলে ইতিহাসই বিএনপিকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। ইতিহাস মিথ্যাকে গ্রহণ করে না। তাই মিথ্যার রাজনীতিই বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করবে।

মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বে বিভিন্নভাবে চাপের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেসব চাপ উপেক্ষা করে বিচার সম্পন্ন করেছেন। খালেদা জিয়ার বিচার করার সময়ও নানামুখী চাপ ছিল। কিন্তু তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেখিয়েছেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি করলে ক্ষমা পাওয়া যায় না।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ ‘আবার ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা ছিলেন রাজাকার। জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের চর। তিনি কোনো অবস্থাতেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। মানুষের চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। জেনারেল ওসমানী তার কোর্ট মার্শাল করতে চেয়েছিলেন। আদালতের রায় আছে, জিয়া গায়ের জোড়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।