৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৩১
শিরোনাম:

মামুনুল হককে প্রধান আসামি করার দাবি বিচারপতি মানিকের

হেফাজত নেতা আল্লামা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করার দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। একই সঙ্গে তিনি ওই মামলায় দ্বিতীয় আসামি হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও তৃতীয় আসামি হিসেবে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী)-এর নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

রোববার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে টকশোতে অংশগ্রহণ করে তিনি এ দাবি জানান। এ টকশোটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

টকশোতে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এটি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। আজকে জাহাঙ্গীর কবির নানক সাহেব অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছেন, একাত্তরের চেয়ে বড় যুদ্ধ এগিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এখানে এক নম্বর আসামি করতে হবে রাজাকারের বাচ্চা মুমিনুল (মামুনুল) হককে, যে হচ্ছে সবকিছুর জন্য বেশি দায়ী। দুই নম্বর আসামি করতে হবে বাবুনগরীকে (হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে) এবং তিন নম্বর আসামি করতে হবে আজকে এখানে যে উপস্থিত আছেন তাকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাকে যদি ইন্টারোগেশন (জিজ্ঞাসাবাদ) করা হয়, তাহলে অনেক কিছু জানা যাবে। এই চেয়ারম্যানের কতটুকু সম্পৃক্ততা ছিল সেটা জাতি জানতে চাচ্ছে এবং আমরা জানতে চাচ্ছি। সে নিশ্চয়ই সম্পৃক্ত ছিল এর সঙ্গে। তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখতে হবে, তার পরিবারে কোনো রাজাকার আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আরও অবাক হয়েছি যে, ইউএনও অস্ত্রধারী মানুষগুলোর সঙ্গে মিলে মাইকে কথা বলছে। তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখতে হবে। তার ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো রাজাকার আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তার চাকরি নিশ্চয়ই হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের আমলে। আমরা বারবার বলছি, প্রশাসেনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজাকার-আলবদররা লুকিয়ে আছে।

বিচারপতি মানিকের বক্তব্যের মাঝে উপস্থাপিকা প্রশ্ন করেন, ‘আমি সকলেরটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম কেন নিয়েছেন? পরিস্থিতি সামাল দিতে ওনি তো আগের রাত থেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন, বড় একটি অংশকে ফেরৎ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন।’ এ প্রশ্নের উত্তরে ক্ষুদ্ধ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমাকে বলতে দেন, দুই দিন আগে মাইকিং হয়েছে মসজিদ থেকে, তারপরে আজকে সে (উপজেলা চেয়ারম্যান) যে কথা বলতেছে, এর থেকে আরও পরিষ্কার সে এটার সঙ্গে ছিল। তাকে গ্রেফতার করা উচিত, তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক কিছুই বেরিয়ে যাবে।

সূত্র- পিপিবিডি