৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:১১
শিরোনাম:

দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব স্থগিত ঘোষণা বিএনপির

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ও সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতা এ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছে দলটি। বুধবার গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, বিএনপি যেন কর্মসূচি স্বচ্ছন্দে যাতে পালন করতে না পারে তার জন্য সরকার নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সরকারের জন্মশত বার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে বিদেশী মেহমানদের সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচির অনুমতি পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে রয়েছে ২২ মার্চের সিম্পোজিয়াম, ২৫ মার্চের আলোচনা সভা, ২৬ মর্চের সুবর্ণ জয়ন্তীর র‌্যালী ও ৩০ মার্চের সোরওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের অনুমতি।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়ংকর ও বিপদ জনক অবস্থায় উপনীত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের দেয়া এ হিসাবও প্রকৃত চিত্র নয় বলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করে। সাধারণ জনগণকে পরিক্ষার আওতায় আনলে সংক্রমণের সংখ্যা আরো অনেক গুনে বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, পরিতাপের বিষয়, সরকার দেশের জরুরী পরিস্থিতি ও জনস্বার্থের হুমকিকে উপেক্ষা করে তাদের অনুষ্ঠানে জনসমাগম ও বিদেশী মেহমানদের স্বাগত জানাতে গিয়ে দেশের মানুষকে আরো ঝুকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
পশ্চিম বঙ্গের লক্ষাধিক মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী এহেন আকস্মিক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। অথচ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহু অমিমাংসিত বিষয় বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোন পক্ষেরই কোন মাথা ব্যথা নেই।