৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:২০
শিরোনাম:

সড়কে দেয়াল তুলে অবরোধ দিল হেফাজত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হেফাজতপন্থী মাদ্রাসাছাত্ররা এখনো সড়কে অবস্থান করছে। সড়কের ওপর বাশের ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। হাটহাজারী, রামগড়সহ এই পথ দিয়ে চলাচল করা মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। বিকল্প পথ দিয়ে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শুক্রবার আড়াইটা থেকে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি বন্ধ রয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় মাদ্রাসাছাত্ররা সড়কটি অবরোধ করে রাখে।

এ ছাড়া হাটহাজারী এলাকার প্রধান সড়কের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার থেকে হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম এমপি। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলা হলে ও শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভকারী ছাত্ররা রাস্তায় আবার বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা যায়। মাদ্রাসা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেরার আহ্বান জানান। সকাল থেকে পৌর সদরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকান, শপিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে।

এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত র‍্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

গতকাল হাটহাজারীতে জুমার নামাজ শেষে মাদ্রাসার ছাত্ররা মিছিল বের করে। এ সময় মাদ্রাসাছাত্ররা আকস্মিকভাবে থানায় আক্রমণ করে। এ সময় গুলি চালিয়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্রদের সংঘর্ষে হাফেজ মো. রবিউল ইসলাম (২৬) মো. মিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরো দুজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় হাফেজ ক্বারী মিরাজুল ইসলাম (২৪), ইমাম উদ্দিন (২৫), বেলাল হোসেন (২২), মো.সাইফুল ইসলাম (২৪) আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।

এদিকে হাটহাজারী সংঘর্ষের ঘটনার পর মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।