৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:১১
শিরোনাম:

মুখোমুখি ইতালি-ইংল্যান্ড, প্রতীক্ষা ফুরাবে কার?

স্বপ্নের মতো এক ফাইনাল উপভোগের অপেক্ষায় ফুটবল দুনিয়া। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মঞ্চে আজ দিবাগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ইতালি। পারফরম্যান্সের বিচারে কেউই ফেবারিট নয়। লড়াই হবে তাই সমানে-সমান। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দু’দলের ফাইনাল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

কোপা আমেরিকার পানশে ফাইনাল যাদের মন ভরাতে পারেনি। তাদের জন্য পাওয়ার ফুটবলের আরেক ফাইনাল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ তৃষ্ণা মেটাবে। লড়াই হবে আপসহীন। কারণ, ইতালির দ্বিতীয় ইউরো জয়ের অপেক্ষা ৫৩ বছরের আর ইংল্যান্ডের প্রথম ইউরো জয়ের প্রতীক্ষা ৫৫ বছরের। তাইতো স্বপ্নের ট্রফি জয়ে দু’দলই উন্মুখ হয়ে আছে।

স্বাগতিক ইংল্যান্ড ৯ বছর আগে সর্বশেষ জিতেছে ইতালির বিপক্ষে। আর ইউরোতে কখনো আজ্জুরিদের হারাতে পারেনি থ্রি লায়নরা। আবার কোচ সাউথগেটের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো জ্বালা বাড়িয়েছে ফিল ফোডেনের ইনজুরি। মাঝমাঠ নিয়ে ভাবনা আছে কিছুটা। তবে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগকে প্রতিহত করতে ডিফেন্সে চীনের প্রাচীর গড়বেন ম্যাগুয়েরা জন স্টোন্স। আক্রমণে রাহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেইনে ভরসা ইংল্যান্ডের। ঘরের মাঠে মেজর কোনো ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ ছাড়তে চায় না স্বাগতিকরা। নিজেদের শেষটা দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে তারা।

অন্যদিকে পরিসংখ্যানের বিচারে ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে ইতালি। কিন্তু কাগজে-কলমের পরিসংখ্যান ম্যাচের ফলাফলে প্রভাবক হবে না। জিততে হলে সর্বোচ্চ ভালো ফুটবলের বিকল্প নেই বলে শিষ্যদের বার্তা দিয়েছেন কোচ রবার্তো মানচিনি। যে ইতালি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সেই দলের দায়িত্ব নিয়ে ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত মানচিনির দল।

ইউরো রোমে নিয়ে ফিরতে হলে ইতালির বুড়ো ডিফেন্স কিয়ালিনি বোনুচ্চিদের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে স্টার্লিং কেইনদের ঠেকাতে। ইংলিশদের তুলনায় ইতালির মিড ফিল্ড বেশ আক্রমণাত্মক। ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণাত্মক ফুটবলের দর্শন ভেঙে আক্রমণাত্মক তত্ত্বে সফল হওয়ার রণকৌশল ইতালির। ইতালি কিংবা ইংল্যান্ড কোনো এক দলের স্বপ্ন পূরণ হবে। তবে পৃথিবীজুড়ে এই মহামারির মাঝে এক মাস হলো ইউরোর রোমাঞ্চ যেভাবে বুঁদ করে রেখেছিল সবাইকে, তাতে নিশ্চয় বলতেই হয় ফুটবলের জয় হয়েছে।