৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:৩৭
শিরোনাম:

নিহত শিমু প্রভাব ফেলেছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে !

রাইমা ইসলাম শিমুর নিহত হওয়ার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে শিল্পী সমিতির চলমান নির্বাচনকে। ২০১৭ সালে মিশা-জায়েদ প্যানেল কমিটি ক্ষমতায় আসার পর শিমুর ভোটাধিকার স্থগিত করা হয়। পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ বাতিল করে প্রায় ১৮৪ জনের মতো তাকেও করা হয় সহযোগী সদস্য। এই নিয়ে উল্লিখিত কমিটির বিরুদ্ধে তার ছিল এন্তার অভিযোগ। তিনি সরাসরি জায়েদ খানকে দায়ি করেই কথা বলতেন। সেই ক্ষোভে নিজের ভোটাধিকার ফিরে পেতে ১৮৪ জনের সঙ্গে আন্দোলন করেছিলেন শিমু। নানা সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

১৯ জানুয়ারি এফডিসিতে দেখা গেল শিমুর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ব্যানার তৈরি করেছে মিশা-জায়েদ প্যানেল। যার একটি দেয়া হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নামে, অন্য একটি আছে মিশা-জায়েদ প্যানেলের নামে। ব্যানারগুলোতে শিমুর পরিচয় দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য চিত্রনায়িকা শিমু’। এই পরিচয় দৃষ্টি কেড়েছে সবার। জন্ম দিয়েছে আলোচনারও। একজন শিল্পী সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইছিলেন, ‘জীবনে যারে দাওনি মালা, মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল’।
অনেকে বিষয়টিকে মৃত শিমুর সঙ্গে উপহাস হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, যে শিমুকে মিশা-জায়েদ নেতৃত্ব সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য বানিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলো সেই তারাই মৃত্যুর পর তাকে সদস্য বানিয়ে দিলো।

এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আন্দোলরতরা। একজন বলেন, ‘শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির স্বীকৃতি পেতে হলে আমাদেরকেও কি মরতে হবে?’

শিমুর ভোটাধিকার বাতিলের ব্যাপারে তৎকালীন সভাপতি মিশা সওদাগর ১৮ জানুয়ারি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিল্পী সমিতির সংবিধান অনুযায়ী টানা ২ বছর চলচ্চিত্রে কাজ না করায় শিমুর ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। তার সদস্যপদ বাতিল করে সহযোগী সদস্য করা হয়।’ অথচ সমিতিতে অনেক সদস্য রয়েছেন যারা টানা ২ বছরের অধিক সময় ধরে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। এমন অনেক সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছেন।