৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৪৯
শিরোনাম:

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার হুঁশিয়ারি আইএমএফের

 

নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর। অতীতকে পেছনে ফেলে রেখে নতুন উদ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নিচ্ছেন সবাই। তবে উদ্যম আর আশা যতই থাক নতুন বছরটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কঠিন বছর হতে চলেছে। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান।

সোমবার (২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের রোববারের সকালের সংবাদ অনুষ্ঠান ‘ফেস দ্য নেশন’-এ এ কথা বলেন আইএমএফের

অনুষ্ঠানে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ মন্দার মধ্যে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান। তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালটি গত বছরের তুলনায় ‘কঠিন’ হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং চীন তাদের অর্থনীতিতে ধীরগতি দেখছে।

তার দাবি, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতির জন্য ২০২৩ সালটি কঠিন বছর হতে চলেছে কারণ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং চীনের মতো বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রধান ইঞ্জিনগুলো দুর্বল অর্থনেতিক কার্যকলাপের মুখে রয়েছে।

মূলত ইউক্রেনের যুদ্ধ, পণ্য-দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দাম, সুদের উচ্চ হার এবং চীনে কোভিডের বিস্তার বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে ২০২৩ এর জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছিল আইএমএফ।

‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ মন্দার মধ্যে পড়বে। এমনকি যেসব দেশ মন্দার মধ্যে নেই, সেসব দেশেও কয়েক মিলিয়ন মানুষ মন্দার মতো পরিস্থিতির মুখে পড়বে।’

২০২৩ সালের অক্টোবরে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নিজের দৃষ্টিভঙ্গি কমিয়ে দেয় আইএমএফ। ইউক্রেনের যুদ্ধের পাশাপাশি সুদের উচ্চ হারের কারণে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রমবর্ধমান দামের ওপর লাগাম লাগানোর চেষ্টা করতে পারে।

এরপর থেকে চীন কঠোর জিরো কোভিড পলিসি বাতিল করেছে এবং নিজেদের অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এশিয়ার এই দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সতর্ক করেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ২০২৩ সালে শুরুতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে। তার ভাষায়, ‘আগামী কয়েক মাস, চীনের জন্য বেশ কঠিন হবে এবং চীনা প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব হবে নেতিবাচক, এই অঞ্চলের ওপর প্রভাব হবে নেতিবাচক, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ওপরও এর প্রভাব নেতিবাচক হবে।’

বিবিসি বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হলো জাতিসংঘের অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির ১৯০টি সদস্য দেশ রয়েছে। এসব দেশ বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য একসাথে কাজ করে থাকে।

সংস্থাটির মূল যেসব কাজ রয়েছে, তার একটি হলো (খারাপ অবস্থার আগে) প্রাথমিক অর্থনৈতিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করা।