৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৫৮
শিরোনাম:

বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া অংশ পরিষ্কার করলেই বসানো যাবে দোকান: দোকান মালিক সমিতি

রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো চলছে টিন, লোহা, গ্রিল এবং শাটার সরিয়ে নেওয়ার কাজ। এখনো কোথাও কোথাও ধ্বংসস্তূপে থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। ট্রাকে করে সরানো হচ্ছে কয়লা হয়ে যাওয়া টিন-লোহা।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গারিশ্রমিক যখনই পুড়ে যাওয়া টিন-লোহা টান দিচ্ছে তখনই ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক ধোঁয়া বন্ধ করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। এখানকার বাতাসে এখনো পোড়া গন্ধ।

এদিকে সকাল থেকে উৎসুক জনতাদের ঘটনাস্থলে ভিড় করতে দেখা গেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ সদস্যদের আশাপাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

অন্যদিকে এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের স্থাপন করা সহায়তা তথ্য কেন্দ্রে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ লাইন। প্রশাসনের সহায়তা পাওয়ার আশায় তারা ব্যবসায়ীক প্রমাণসহ তথ্য নিবন্ধন করছে।

শনিবার সকালে বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারের পশ্চিম পাশে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পুড়ে যাওয়া লোহা, টিন ৪০ লাখ টাকায় মার্কেটের মালিক সমিতির অনুমতিতে বিক্রি করা হয়েছে। এ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে আগুন লাগার পর থেকে পরিষ্কারের কাজ চলছে। শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করছেন। এরই মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। কাজ শেষ হলেই মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে দোকান বসানো হবে।