১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:০৪
শিরোনাম:

ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা, মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ

পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। সড়ক, ট্রেন ও লঞ্চ পথে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। এতে রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর অফিস এলাকাগুলোয় যানবাহনের চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিভিন্ন টার্মিনালে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

এদিকে আজ সরকারি অফিসে শেষ কার্যদিবস। অনেকেই অগ্রিম ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এবার ঈদের ছুটি পাঁচ দিন, রোজা যদি ৩০টি হয়, তবে ছুটি আরও একদিন বাড়বে।

বিকেল থেকে রাজধানীর টার্মিনাল এলাকাগুলোয় ভিড় বেড়েছে। সকালে যেসব বাস রাজধানী থেকে বেরিয়ে যায়, সে সময় কিছুটা যানজট দেখা দেয়। আবার যে বাসগুলো বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে ঢাকা ঢুকছে সেগুলোকে জায়গা দিতে গিয়েও কিছু সময় যানজট ছিল। বিশেষ করে মহাখালী ও গাবতলী এলাকায় এ পরিস্থিতি বেশি দেখা গেছে।

গুলশান বিভাগের মহাখালী জোটের ট্রাফিক কর্মকর্তা (টিআই) মো. মাসুদ রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকে রাজধানীর মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। ঢাকাও ফাঁকা হতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিন আরও চাপ বাড়বে। কারণ গার্মেন্টস এখনো ছুটি হয়নি। চাপ যতটুকু হবে সেটি টার্মিনাল কেন্দ্রিক।

বহুদিন পর বাড়িতে গিয়ে সকলের সঙ্গে ঈদ উদযাপন নিয়ে আনন্দিত-উচ্ছ্বসিত সববয়সী মানুষ। এবারের ঈদযাত্রায় শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় রেলপথে ভোগান্তি কমেছে বলে জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মো. সফিকুল রহমান।

এদিকে দৈনিক আমাদের সময়ের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ও টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সকালে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের পাশাপাশি বেড়েছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল কবীর বলেন, যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে ছোট-বড় ২২ হাজার ৪৮৫টি যান পারাপার হয়েছে। এতে ২ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।