১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০২
শিরোনাম:

আজমত উল্লার বিনয়ী ব্যাখ্যায় সস্তুষ্ট ইসি

নির্বাচন কমিশন বলছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ অত্যন্ত বিনয়ীভাবে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে, কমিশন এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে। রোববার ( ৭ মে) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে কমিশনের তলবে আজমত উল্লাহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখার শুনানির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যচার কমিশনারসহ ইসির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২৭ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আজমত উল্লা খান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এর ২ দিন পর ৩০ এপ্রিল ইসি আজমত উল্লাকে ঢাকায় সশরীরে এসে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে। এরপর বৃহস্পতিবার আজমত উল্লা আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেদিন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে ভোট চান। সেখানে আজমত উল্লা খানও উপস্থিত ছিলেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী নিজেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার আচরণিবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ৭ মে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজমত উল্লাহ খান অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভবিষ্যতে ভুল করবেন না। কিছু ভুল হয়েছে অজ্ঞাতসারে। আর যে সভাটি করেছিলেন সেটি সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আচরণ বিধি ভেঙেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কমিশন কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তার বক্তব্য বিবেচনা করে দেখা হবে। তিনি একজন স্থানীয় নেতা।

আজমত উল্লাহ খান দুঃখ প্রকাশ করেছেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এত প্রশ্নের তো দরকার নেই। যদি আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে সেজন্য আজমত উল্লাহ খান দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সিইসি বলছেন, ভবিষ্যতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই বিষয়ে নতুন কোনো তদন্তে যাচ্ছে না কমিশন। এর মাধ্যমে পাঁচ সিটি নির্বাচনে ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে মনে করছেন কমিশন।

এ বিষয়ে আজমত উল্লা খান সাংবাদিকদের জানান, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি। কমিশন থেকে যে সিদ্ধান্তে আসবে, তা তিনি মেনে নেবেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো বিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমান বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এ ছাড়া কমিশন চাইলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে।