১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:২৮
শিরোনাম:

সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে ‘মোখা’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে। আগামী রোববার নাগাদ এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন তিনি। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আগামীকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে এটা আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দেশের পূর্বাভাস সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেছি, এটা এখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে এখনো গড়ে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। আগামী ১২ মে নাগাদ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নেবে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে, সেটা আমাদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটির গতি ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমারে এটি আঘাত হানবে। এটি টেকনাফের বর্ডার থেকে একটু দক্ষিণ দিক দিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আঘাতের সময় এর গতি ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এসওডি (দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

‘মোখা’ নিয়ে ঝুঁকির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটি জেলা কক্সবাজারই আক্রান্ত হওয়ার বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের নিম্ন এলাকা।’

উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘৫, ৬, ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি হলে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সব নির্দেশনা দিয়েছি চট্টগ্রামের যতগুলো উপকূলীয় উপজেলা আছে সেগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার জন্য বলেছি।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে খাওয়ার জন্য আমরা ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কুট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য। আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারব।’