৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:২৪
শিরোনাম:

আ. লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কার, স্ত্রীও দিলেন তালাকের নোটিশ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা।

গত ৩০ এপ্রিল তালাকের নোটিশটি পাঠানো হলেও সম্প্রতি নোটিশের একটি কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তালাকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি জাহাঙ্গীর। তিনি বিষয়টি পারিবারিক বলে উল্লেখ করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

নোটিশে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী। নোটিশের অনুলিপি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে সাক্ষী হিসেবে আছেন কাজী তৈয়াবুর রহমান ও কাজী নাজমুস সাকিব।

এদিকে আজ মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে তালাকের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমার পারিবারিক বিষয়। যারা বিষয়টি ছড়াচ্ছেন তারা আমাকে হেও করার জন্য করছেন। আমি এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।’

গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ তালাকের নোটিশটি সঠিক। সিটি করপোরেশনের আইন শাখায় এ সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছেছে।’

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগে মেয়রের পদ থেকেও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গাজীপুর সিটির মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু একটি খেলাপি প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। উচ্চ আদালতে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। জাহাঙ্গীর প্রার্থী হতে না পারলেও তার মা জায়দা খাতুন সিটি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।