২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:১৯
শিরোনাম:

গণপূর্তের অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী করার নামে এনামুলের চাঁদাবাজি, পর্ব:১

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক হাজার পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি পারলে ঠেকান। আমার কাজ প্রায় শেষ। সচিবের স্বাক্ষর হয়ে গেছে এখন আর ঠেকায় কে। কথা গুলো বলছিলেন গণপুর্ত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের মহাসচিব এনামুল হক।
জানা যায়, ওয়ার্ক চার্জ কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থায়ী করণের কথা বলে মামলা এবং মন্ত্রণালয়ের খরচ বাবদ ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন এনামুল হক ও তার কিছু সহযোগীরা। প্রায় ১৪০০ কর্মচারীর কাছ থেকে এই টাকা নিয়েছেন তারা। যদিও এনামুল হক বলেছেন এক হাজার ৫৬ কর্মচারীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন। এই টাকা সিটি ডিবিশনের ২ জন কর্মচারীসহ বিশ^ত কয়েকজন কর্মচারীর কাছে জামা রেখেছিলেন। সেখান থেকে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ পাঠানোও হয়েছে। এছাড়াও ভাউচার ভিত্তিক ৪০জন কর্মচারীর কাছ স্থায়ী করনের কথা বলে জনপ্রতি জনের ২ লাখ টাকা নিয়েছেন এনামুল হক।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে প্রথমে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি অপারাগতা প্রকাশ করে সামনা সামনি কথা বলতে চান। এরপর গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ৭ মিনিটে ১২ ভবনের নিচে কথা হয় এনামুল হকের সঙ্গে। এসময় তিনি এক রকম গর্বের সঙ্গে বলেন, ১০০০ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বিনিময়ে কাজও করে দিয়েছি। ওইসব পরিবারের লোকজন অনেক দোয়া করবেন। আর মাত্র দু’চার দিনের মধ্যেই কাজ গুলো হয়ে যাবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের ভ্যাটিং শাখা এবং জনপ্রশাসন সহ গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) কে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে ফাইলগুলোর তদবির করিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, গরীব মানুষের দোয়া সবারই তো দরকার। আমি পেয়েছি তাই স্যারের (যুগ্ম সচিব) জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করলাম।

তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম বলেন, ঘুষ লেনদেন এক অন্যায় আনার ঘুষের নামে টাকা উঠানো বা চাঁদাবাজি করলে সেটাও আরেক অন্যায়। কোন সরকারি কর্মচারী এমন কাজে লিপ্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রচলিত আইনে তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।