দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় বুদ্ধিজীবী মাজারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নের্তৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পৈশাচিক সে হত্যাকাণ্ড জাতির জীবনে সৃষ্টি করেছে এক গভীর ক্ষত। দেশমাতৃকার এই বরেণ্য সন্তানদের অম্লান স্মৃতি আজও আমাদের বেদনার্ত করে।
রোববার বাণীতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাঁদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সার্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে হানাদার বাহিনীর দোসররা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করেছিলো।
তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর একটি বেদনাময় দিন। বাংলাদেশকে মেধা মননে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঊষালগ্নে এ দিনে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করোছিলো।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে এবং উন্নয়ন অগ্রগতি রুদ্ধ করে দেয়া যাবে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে মুখ থুবড়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
শাহাদাৎবরণকারী বুদ্ধিজীবীদের অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব তিনি।